করোনাভাইরাস: মসজিদে নামাজ আদায়ে ৯ নির্দেশনা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মসজিদে জামায়াতে নামাজের জন্য ৯টি নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে অন্যান্য ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতেও যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি ও শারিরীক দূরত্ব অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। 
বায়তুল মোকাররম
বায়তুল মোকাররম। ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মসজিদে জামায়াতে নামাজের জন্য ৯টি নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে অন্যান্য ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতেও যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি ও শারিরীক দূরত্ব অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। 

মঙ্গলবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সাখাওয়াৎ হোসেনের সই করা আদেশে এসব কথা বলা হয়।

আদেশে বলা হয়েছে, মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং মুসল্লীদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে যেতে হবে।

প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে যেতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। ৫ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, মুসল্লীগণকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে যেতে হবে।

নামাজের কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

শিশু, বয়বৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামায়াতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে।

সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওযুখানায় সাবান-হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব, ইমাম ও মুসল্লীগণ দোয়া করবেন। 

সম্মানিত খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।

অন্যান্য সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান-উপাসনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।  

এসব নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
 

Comments