যেভাবে বুঝবেন করোনার উপসর্গ

প্রতীকী ছবি

শীতে অনেকেরই ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তবে এই উপসর্গ করোনাভাইরাসের কারণেও হতে পারে। ঠাণ্ডা লাগার উপসর্গ সাধারণত ২ থেকে ৩ দিনের বেশি না থাকলেও করোনাভাইরাসের উপসর্গ ২ সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় ধরে থাকতে পারে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে আপনি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগতে পারেন, যা সাধারণত ঠাণ্ডা লাগলে হয় না।

শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া করোনাভাইরাসের খুবই সাধারণ উপসর্গ। তবে কোনো কারণে নার্ভাস হলে বা প্যানিক অ্যাটাক হলেও শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে। সুতরাং এই উপসর্গ দেখা দিলেই কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে এই উপসর্গে বেশ কিছুদিন ভুগতে হয়। সঙ্গে ফ্লুয়ের মতো উপসর্গও দেখা দেয়।

ঠাণ্ডা লাগার সাধারণ উপসর্গ শুকনো কাশি। তবে ধারাবাহিক ভাবে শুকনো কাশি দেওয়াও করোনাভাইরাসের লক্ষণ হতে পারে। শুরুতে কাশি মধ্যম পর্যায়ে থাকলেও ৫ থেকে ৭ দিনে শারীরিক পরিস্থিতির বেশ অবনতি হতে পারে।

মহামারির পুরোটা সময় জুড়ে আমাদেরকে বারবার হাত ধোয়া ও নিজের মুখে হাত না দেওয়ার বিষয়ে সতর্কবাণী জানানো হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে চোখের ক্ষতি হতে পারে। ভাইরাসের কারণে চোখ ওঠা (কনজাংটিভাইটিস), চোখে পানি আসা ও চোখের দৃষ্টি ঘোলা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

করোনাভাইরাসের কারণে হৃদযন্ত্রেরও ক্ষতি হতে পারে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে হার্টবিট বেড়ে যেতে পারে। আপনি বুকে চাপ অনুভব করতে পারেন। ভাইরাস আপনার দেহ থেকে দূর হওয়ার পরেও এরকম হতে পারে। এ ধরনের উপসর্গ মধ্যম পর্যায়ে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত এবং গুরুতর পর্যায়ে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে।

করোনাভাইরাস তীব্র অবসাদের সৃষ্টি করে। যদি আপনি অনেক বেশি ক্লান্তি অনুভব করেন এবং বিশ্রাম নেওয়ার পরেও সেই ক্লান্তি দূর না হয়, তাহলে এর পেছনে কারণ হিসেবে ভাইরাস দায়ী হতে পারে। কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ পরে আবারও এরকম অনুভূতি ফিরে আসতে পারে।

করোনাভাইরাসের কারণে খাবার ও পানীয়র স্বাদ অন্যরকম লাগতে পারে। আপনি একেবারেই কোনো স্বাদ বা গন্ধ নাও পেতে পারেন। এ ধরনের পরিস্থিতি কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে। এই উপসর্গ দেখা দিলে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল পাওয়া যায় এবং এটি সাধারণত মধ্যম পর্যায়ের করোনাভাইরাস নির্দেশ করে।

দেহে যেকোনো ধরনের সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যেটি মূলত এক ধরনের প্রোটিন।

অবস্থাদৃষ্টে ধারণা করা হচ্ছে, মিউটেশনের কারণে করোনাভাইরাসের উপসর্গ বা প্রভাবে খুব বেশি পরিবর্তন আসে না। নতুন স্ট্রেইনগুলো তুলনামূলক ভাবে দ্রুত ছড়াতে পারে, কিন্তু উপসর্গগুলো অনেকটা আগের স্ট্রেইনের মতোই থাকে। সুতরাং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও শুধু উপসর্গ থেকে বোঝা যাবে না আপনি কোন স্ট্রেইনে আক্রান্ত হয়েছেন।

সুস্থ থাকতে এবং চারপাশের মানুষকে সুস্থ রাখতে করোনাভাইরাসের উপসর্গ সম্পর্কে সচেতন হওয়া খুবই জরুরি। সেইসঙ্গে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান

Comments

The Daily Star  | English

IMF loan tranches: Agreement with IMF at last

The government has reached a staff-level agreement with the International Monetary Fund for the fourth and fifth tranche of the $4.7 billion loan programme, putting to bed months of uncertainty over their disbursement.

8h ago