সাভারে টিকাকেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড়

কেন্দ্রগুলোতে টিকা নিতে আসা ৬০০ জনের বেশি মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ছবি: স্টার

দেশব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরুর প্রথমদিনে রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারের টিকাকেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

টিকা নিতে আসা মানুষের ব্যাপক ভিড় দেখা গেলেও কোথাও দেখা মেলেনি স্বাস্থ্যবিধির। অনেকের মুখে মাস্কও ছিল না।

যদিও টিকাকেন্দ্রে দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মী এবং চেয়ারম্যানদের দাবি কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মানতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।

প্রতিটি কেন্দ্রে প্রথম দিনে ৬০০ জনকে টিকা প্রদান করা হবে। তবে কেন্দ্রগুলোতে ৬০০ জনের বেশি মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সেক্ষেত্রে টিকা না পেয়ে অনেককেই ফিরে যেতে হবে বলে আশংকা করছেন টিকার জন্য অপেক্ষারতরা।

সাভারের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে সরেজমিনে একই চিত্র দেখা যায়।

সকালে সাভার সদর ইউনিয়নের টিকাকেন্দ্র চাপাইন নিউ মডেল হাইস্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন কালে দেখা যায়, টিকা নেওয়ার জন্য অপেক্ষারত মানুষের দীর্ঘ সারি। তারা বেশিরভাগই গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন, অনেকের মুখেই নেই মাস্ক।

লাইনে দাঁড়ায়ে থাকা অনামিকা দাশ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'টিকা নিতে এসে ভয়ে আছি যে, এখান থেকে আবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যাব কি না। কারণ, এখানে কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। অনেকের মুখেই মাস্ক নেই। কোনো ভলান্টিয়ার দেখছি না। কেন্দ্রে প্রবেশের মুখে জীবাণুনাশক স্প্রেও করা হচ্ছে না। এতে করে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।'

সেখানে উপস্থিত আরও অনেকেই একই অভিযোগ করেছেন।

সারির পেছনের দিকে থাকা বেশিরভাগ মানুষের কাছে শোনা যায় টিকা না পাওয়ার আশঙ্কার কথা।

টিকা নিতে অপেক্ষারত হাবিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'টিকা নিতে এসে ভালো লাগছে। কিন্তু আজ টিকা পাব কি না এই আশঙ্কায় আছি।'

জানতে চাইলে টিকাকেন্দ্রে উপস্থিত সাভার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্বাস্থ্যবিধি মানতে টিকাকেন্দ্রে অপেক্ষমাণ সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে টিকা নিতে সবাইকে বলা হচ্ছে। যেহেতু আজ প্রথমদিন, তাই মানুষ একটু বেশি উৎসুক।'

টিকা না পাওয়ার আশঙ্কার বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, 'প্রথমদিন তিনটি ওয়ার্ডে ৬০০ ডোজ টিকা দেওয়া হবে। আমাদের কেন্দ্রে পৌরসভার কিছু মানুষ এসেছে, তাই মানুষের উপস্থিতি বেশি। যেহেতু এখনও দিনের অনেকটাই বাকি, তাই এখনই বলা যাচ্ছে না কেউ টিকা না পেয়ে ঘুরে যাবে কি না।'

কেন্দ্রের ইনচার্জ সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক কনকপ্রদ সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছয় জন স্বাস্থ্যকর্মী টিকা দিচ্ছেন। মাস্ক ছাড়া কাউকেই টিকা দেওয়া হচ্ছে না।'

Comments

The Daily Star  | English

No scope to avoid fundamental reforms: Yunus

Conveys optimism commission will be able to formulate July charter within expected timeframe

2h ago