হাসপাতালে সুইপার ৪ জন, তবুও ময়লার স্তূপ

লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের প্রবেশ করিডোরের পাশে দিনের পর দিন ময়লা স্তূপ পড়ে থাকলেও তা পরিষ্কার করা হচ্ছে না। ময়লার স্তূপ থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে তা অতিষ্ঠ করে তুলেছে হাসপাতালের রোগী ও দর্শনার্থীদের।
হাসপাতালের প্রবেশ মুখেই ময়লার ভাগাড়ে দীর্ঘদিন জমে থাকা ময়লা থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। ৪ জন সুইপার থাকার পরও পরিষ্কার করার কেউ নেই। ছবি: স্টার

লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের প্রবেশ করিডোরের পাশে দিনের পর দিন ময়লা স্তূপ পড়ে থাকলেও তা পরিষ্কার করা হচ্ছে না। ময়লার স্তূপ থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে তা অতিষ্ঠ করে তুলেছে হাসপাতালের রোগী ও দর্শনার্থীদের।

অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে অবগত হলেও নিচ্ছে না কোনো ব্যবস্থা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এই হাসপাতালে ৪ জন সুইপারের পদের বিপরীতে ৪ জনই কর্মরত রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ জন সুইপার হিরালাল বাঁশফোর ও বাদল বাঁশফোর নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন।

তবে, সু্ইপার পদে নিয়োগকৃত মজিদুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম তাদের দায়িত্ব পালন করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।

হাসপাতালে আসা দর্শনার্থী বেলাল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সিঁড়ি দিয়ে হাসপাতালের উপরে উঠতেই দুর্গন্ধ নাকে লাগে। হাসপাতালের করিডোরের পাশে দিনের পর দিন ময়লার স্তূপ জমে থাকলেও সেগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে না।'

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী মোমেনা বেগম বলেন, 'ময়লার স্তূপ থেকে আসা দুর্গন্ধ সহ্য করার মতো না। এই দুর্গন্ধে অনেক রোগী আরও অসুস্থ হয়ে পরেন। হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্টাফ সবাই এটা জানেন, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।'

অভিযোগের বিষয়ে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. কামরুল হাসান প্রিন্স দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এ বিষয়ে তিনি অবগত এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।

লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রমজান আলী বলেন, 'জনবল সঙ্কট থাকার কারণে সুইপার পদে কর্মরত ৪ জনের মধ্যে ২ জন অন্য কাজ করেন। তাদের মধ্যে একজন কর্মরত রয়েছেন সিভিল সার্জনের বাসভবনে এবং অপরজন রয়েছেন জরুরি বিভাগে। খুব শিগগির তাদের মূল দায়িত্বে ফেরত আনা হবে।'

ময়লার স্তূপ পরিষ্কার করে হাসপাতাল এলাকা দুর্গন্ধমুক্ত করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

Comments

The Daily Star  | English

Create right conditions for Rohingya repatriation: G7

Foreign ministers from the Group of Seven (G7) countries have stressed the need to create conditions for the voluntary, safe, dignified, and sustainable return of all Rohingya refugees and displaced persons to Myanmar

7h ago