৭ ঘণ্টা পর চমেক হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেবা চালু

সকাল থেকে বন্ধ থাকার পর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চমেক হাসপাতালে আবার ডায়ালাইসিস সেবা চালু হয়। ছবি: রাজীব রায়হান/স্টার

অবশেষে ৭ ঘণ্টা পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কিডনি রোগীদের জন্য ডায়ালাইসিস সেবা কার্যক্রম চালু হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল থেকে চমেক হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধ ছিল। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ সেবা চালু হয়।

হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চমেক হাসপাতালে ডায়ালাইসিস কার্যক্রম স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালিত পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পের মাধ্যমে চলে। জানা গেছে, প্রকল্প পরিচালিত সংস্থার বকেয়া পাওনা থাকায় তারা আজ সকালে এ সেবা বন্ধ করে দেয়।

ডা. আফতাবুল ইসলাম বলেন, 'প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি এবং সঙ্কটাপন্ন রোগীদের জন্য ডায়ালাইসিস কার্যক্রম চালু করার অনুরোধ করেছি।'

পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ কার্যক্রম চালু হয় বলে জানান তিনি।

বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ডায়ালাইসিস করাতে আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ হলেও, এখানে ৫০০ টাকায় ডায়ালাইসিস সেবা পাওয়া যায়।

সকালে এ সেবা বন্ধ হওয়ায় হাসপাতালে অনেক রোগীকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। হাসপাতালের হেমোডায়ালাইসিস সেন্টারের দরজায় তালা দেখে প্রায় শতাধিক রোগী ও তাদের স্বজনরা বিক্ষোভ করেন।
সে সময় সেখানে কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২০১৭ সাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হেমোডায়ালাইসিস সেন্টার চলছে স্যান্ডর মেডিকেডসের ব্যবস্থাপনায়।

চুক্তি অনুযায়ী কোম্পানিটি ৩১টি মেশিন স্থাপন করে এবং রোগীরা প্রতিবার ডায়ালাইসিসের জন্য ৪৮৬ টাকা পরিশোধ করতেন। আর রোগীর প্রতিবার ডায়ালাইসিসের জন্য সরকারের ভর্তুকি হিসেবে ২ হাজার ১৮০ টাকা দেওয়ার কথা।

চুক্তি অনুসারে, সংস্থাটির ১০ বছর পর এই কেন্দ্রটি সরকারের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে কেন্দ্রটিতে প্রতিদিন ১০০টিরও বেশি ডায়ালাইসিস করা হয়।

হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম জানিয়েছিলেন যে, তার জানা মতে সরকারের কাছে প্রতিষ্ঠানটির পাওনা ৪ কোটি টাকা।

Comments