চতুর্থ দিনের মন্থর ব্যাটিংয়ের কারণ জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক

mominul haque
সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুমিনুল হক: ফিরোজ আহমেদ

নিষ্প্রাণ উইকেটে ফল বের করতে প্রতিপক্ষের উপর দ্রুত রান চাপিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হতে পারত একটি ভালো চিন্তা। কিন্তু চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ হাঁটেনি সে পথে। ঝুঁকিহীন খেলতে গিয়ে রান আসে মন্থর গতিতে। শেষ দিনে যথেষ্ট সময় হাতে না থাকায় আর ফল বের করা যায়নি। অধিনায়ক মুমিনুল হক জানালেন, দ্রুত রান আনতে গেলে হতে পারত বড় বিপদ।

চতুর্থ দিনে নেমে আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস খেলেন সতর্ক পথে। টেস্টে নিজের পাঁচ হাজার রান থেকে ১৫ রান দূরে থেকে দিন শুরু করেছিলেন মুশফিক। ওই ১৫ রান করতে তার লেগে যায় ৪৮ বল। লিটন তারচেয়ে একটু গতিময় থাকলেও তৃতীয় দিনের তুলনায় তিনিও ছিলেন মন্থর।

প্রথম সেশনে ২৭ ওভার ব্যাট করে বাংলাদেশ আনে কেবল ৬৭ রান। লাঞ্চের পর ফিরেই মারতে গিয়ে ৮৮ রানে আউট হন লিটন। পরের বলে বিদায় নেন তামিম ইকবালও।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আরেকটি ড্রয়ের পর অধিনায়ক মুমিনুল জানালেন, বুঝেশুনেই নিরাপদ পথে হাঁটতে হয়েছে তাদের,  'যদি পাঁচদিন আপনি খেলা দেখেন। ওদের ব্যাটিংও দেখেন, আমাদের ব্যাটিংও যদি দেখেন। এই উইকেট এমন উইকেট ছিল আপনি টিকে থাকতে পারবেন। কিন্তু একটু বেশি যদি এক্সালারেট করতে যান তাহলে হয়ত উইকেট পড়ার সুযোগ বেশি থাকবে। যেটা আমার কাছে মনে হয়। ওই সময়ে লিটন যদি আউট না হতে তাহলে হয়ত আমরা সুযোগটা নিতে পারতাম। ওই সময় দুই তিনটা উইকেট পড়ে গেল। তামিম ভাই আউট হলো, লিটন আউট হলো। লিটন যদি মুশফিক ভাইয়ের সঙ্গে এক ঘন্টা খেলতে পারত তাহলে আমরা অন্যরকম কিছু করতে পারতাম। আপনি যেটা বলছেন এটা সত্যি কিন্তু বেশি মারতে গেলে আউট হওয়ার ঝুঁকি থাকে।'

শ্রীলঙ্কার ৩৯৭ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করে ৪৬৫। তামিম খেলেন ১৩৩ রানের ইনিংস। নিজের সবচেয়ে মন্থরতম সেঞ্চুরিতে ২৮২ বলে ১০৫ করেন মুশফিক। পরে চার সেশনে ম্যাচ শেষ করার আর সময় ছিল না। শেষ দিনের শেষ ঘন্টায় যখন দুদল ড্র মেনে নেয় লঙ্কানরা এগিয়ে ১৯২ রানে।

ফল না এলেও এই টেস্ট থেকে প্রাপ্তির অনেক কিছু দেখছেন মুমিনুল। দুই সেঞ্চুরি, নাঈম হাসানের ৬ উইকেট। ব্যক্তিগত এসব অর্জন ও লড়াই করাকে বড় করে দেখছেন তিনি, 'প্রাপ্তির জায়গা বলতে দল হিসেবে সবাই ভাল খেলেছে। এটাই দরকার। আমরা যখন দল হিসেবে খেলি তখন ফলাফল করি।'

তবে দুই পেসারের কাছ থেকে আরেকটু বেশি প্রত্যাশা ছিল বাংলাদেশ দলের, 'পেস বোলাররা আরেকটু ভাল বল করতে পারত প্রথম ইনিংসে। দ্বিতীয় ইনিংসে শরিফুল ছিল না, খালেদ আরেকটু ভাল করতে পারত।'

Comments

The Daily Star  | English

Govt cuts interest rates on savings tools

Finance ministry lowers rates on four key savings instruments

3h ago