সেলিনা পারভীন সাংবাদিকতা পদক পেলেন রোজিনা ইসলাম ও কাবেরী মৈত্রেয়

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের (বিএনএসকে) আয়োজনে 'শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সাংবাদিকতা পদক' পেয়েছেন দেশের দুই নারী সাংবাদিক।

আজ দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে অনুষ্ঠিত এক আয়োজনের মাধ্যমে এই পদক তুলে দেয়া হয়।

পদকপ্রাপ্ত দুই সাংবাদিক হলেন — দৈনিক প্রথম আলোর বিশেষ সংবাদদাতা রোজিনা ইসলাম ও একাত্তর টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক কাবেরী মৈত্রেয়।

রোজিনা ইসলাম 'শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সাহসী সাংবাদিকতা পদক ২০২১' পেয়েছেন। অন্যদিকে 'শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সাংবাদিকতা পদক ২০২০' পেয়েছেন একাত্তর কাবেরী মৈত্রেয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন ও সাবেক ডাকসু সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাহফুজা খানম ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি লেখক মফিদুল হক।

বিএনএসকে সভাপতি নাসিমুন আরা হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অধ্যাপক গোলাম রহমানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

পদক বিতরণের আগে বক্তব্য প্রদানকালে নাসিমুন আরা হক মিডিয়া হাউজগুলাতে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ বাড়ানোর কথা বলেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নারীদের স্বার্থে আলাদা আচরণ বিধি ও নীতিমালা নির্ধারণের তাগিদ দেন।

তিনি আরও বলেন, যৌন হয়রানি সংক্রান্ত ঘটনা রোধে, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি মিডিয়া হাউজে যৌন নিপীড়ন নিরোধ কমিটি থাকতে হবে। যাতে কোনো ধরনের ঘটনা ঘটলে সুষ্ঠুভাবে তা বের করে আনা সম্ভব হয়।

বক্তব্য শেষে তিনি, প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামসহ দেশের সকল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন ১৯৩১ সালের ৩১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাপ্তাহিক বেগম, ললনা, শিলালিপিসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কাজ সাংবাদিকতা করেছেন। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তান হানাদার বাহিনী তাকে হত্যা করে। এর আগের দিন পাকিস্তানিদের দোসর আলবদর বাহিনী সেলিনা পারভীনকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৭ ডিসেম্বর মিরপুর বধ্যভূমিতে তার মরদেহ শনাক্ত করে,১৮ ডিসেম্বর আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English
Yunus-Rubio

Yunus, Rubio discuss boosting security, stability in Indo-Pacific

Rubio held a 15-minute long telephone conversation with Yunus around 7:30pm

2h ago