কুকুর ঘেউঘেউ করায় অস্ট্রেলীয় তরুণীকে হত্যা করেন রাজবিন্দর

এক অস্ট্রেলিয়ান তরুণীকে হত্যার অভিযোগে পলাতক এক ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। 
রাজবিন্দর সিংকে শুক্রবার দিল্লি পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ছবি: সংগৃহীত

এক অস্ট্রেলিয়ান তরুণীকে হত্যার অভিযোগে পলাতক এক ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। 

অস্ট্রেলিয়ান তরুণী তোয়াহ কর্ডিংলের (২৪) কুকুর ঘেউ ঘেউ করায় তাকে হত্যা করেন ওই ভারতীয়।

অভিযুক্ত রাজবিন্দর সিংকে (৩৮) আটক করতে কুইন্সল্যান্ড পুলিশ সর্বোচ্চ ১০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।

রাজবিন্দর সিং পাঞ্জাবের বাটার কালানের বাসিন্দা। শুক্রবার দিল্লি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দিল্লির আদালতে হাজির করে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত তাকে বিচারিক হেফাজতে রাখার আবেদন করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ান তরুণী তোয়াহ কর্ডিংলে। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার রাজবিন্দর সিং সহকারী নার্স হিসেবে এবং নিহত তোয়াহ কর্ডিংলে ফার্মেসি কর্মী হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে কর্মরত ছিলেন। 

অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমে ওই ঘটনা সম্পর্কে জানা যায়, তরুণীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন রাজবিন্দর সিং। হত্যার কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ান তরুণী তোয়াহ কর্ডিংলের কুকুর তাকে দেখে ঘেউ ঘেউ করেছিল। এ নিয়ে কর্ডিংলে ও রাজবিন্দরের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে কর্ডিংলেকে হত্যা করেন তিনি। 

হত্যার পর কুইন্সল্যান্ডের ওয়াঙ্গেটি সমুদ্রসৈকতের বালুতে মরদেহ পুতে রাখা হয়।

হত্যাকাণ্ডের দুদিন পর রাজবিন্দর স্ত্রী ও ৩ সন্তানকে অস্ট্রেলিয়ায় রেখে ভারতে পালিয়ে যান। 

কর্ডিংলেকে সর্বশেষ নিজের কুকুরকে নিয়ে ওয়াঙ্গেটি সৈকতে হাঁটতে দেখা যায়। তারপরই তিনি হত্যার শিকার হন।

নিজের কুকুরসহ তোয়াহ কর্ডিংলে। ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়া সরকার ২০২১ সালের মার্চে রাজবিন্দর সিংকে ফিরিয়ে দিতে ভারত সরকারকে অনুরোধ জানায়। চলতি বছরের নভেম্বরে আবেদনটি অনুমোদিত হয়।

রাজবিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল 'রেড কর্নার নোটিশ' জারি করেছিল।

কুইন্সল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার ক্যাটারিনা ক্যারল দিল্লি পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

কর্ডিংলের মা ভেনেসা গার্ডিনা বলেন, 'আমার মেয়েটার জীবন খুব তাড়াতাড়িই শেষ হয়ে গেল। যখন আমি দেখি আমার মেয়ের বন্ধুরা স্বামী ও সন্তান নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তখন আমি আমার মেয়েকে মিস করি।'

তোয়াহ কর্ডিংলে ২০১৮ সালের ২১ নভেম্বর নিখোঁজ হন। পরদিন ওয়াঙ্গেটি সমুদ্রসৈকত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments