অস্ট্রেলিয়ায় নিহত ২ পুলিশ কর্মকর্তা ‘ধর্মীয় উগ্রবাদী’ হামলার শিকার

নিহত পুলিশ সদস্য র‍্যাচেল ম্যাকক্রো ও ম্যাথিউ আর্নল্ড। ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে গত ১২ ডিসেম্বর বন্দুকযুদ্ধে ২ পুলিশ কর্মকর্তার নিহতের ঘটনাকে 'ধর্মীয় উগ্রবাদী সন্ত্রাসী হামলা' হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ওই ঘটনার তদন্তকাজে প্রায় ২০০টি বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ৩ হামলাকারী পুলিশকে লক্ষ্যবস্তু করার পরিকল্পনা করেছিল।

পুলিশের মতে, হত্যাকারীরা 'প্রিমিলনিয়ালিজম' নামে পরিচিত একটি খ্রিস্টান বিশ্বাসের প্রতিনিধিত্ব করতেন।

ব্রিসবেন থেকে ৩০০ কিলোমিটার পশ্চিমে উইয়াম্বিলার একটি বাড়িতে ১২ ডিসেম্বর কুইন্সল্যান্ডের পুলিশ কনস্টেবল ম্যাথিউ আর্নল্ড ও কনস্টেবল র‍্যাচেল ম্যাকক্রোকে হত্যা করা হয়।

সেই রাতে বিশেষ পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নাথানিয়েল, গ্যারেথ ও স্টেসি ট্রেন নিহত হন।

পুলিশকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দ্য ডেইলি স্টার ১২ ডিসেম্বর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।  

ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ট্রেসি লিনফোর্ড আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বলেন, তদন্তকারীরা ২০০টির বেশি বিবৃতি নিয়েছেন এবং প্রধান হত্যাকারী ট্রেনের পারিবারিক জীবন নিয়ে অনুসন্ধান করেছেন।

লিনফোর্ড বলেন, 'আমরা এমন উপসংহারে পৌঁছেছি যে ন্যাথানিয়েল, গ্যারেথ ও স্টেসি ট্রেন ধর্মীয়ভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ওই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল।'

পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে ওই ৩ জনই হামলা চালিয়েছিলেন এবং আর কেউ হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল না।

পুলিশ আরও নিশ্চিত করেছে যে হামলাটি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছিল এবং হত্যাকারীরা পুলিশের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত ছিল।

ওই রাতে পুলিশের ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, হত্যাকারীরা 'ডন' নামে কাউকে সম্বোধন করে বলছিল যে তারা তাদের 'বাড়িতে' দেখতে পাবেন।

ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ট্রেসি লিনফোর্ড বলেন, 'ডন' মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় মৌলবাদী কেউ হবেন বলে আমাদের বিশ্বাস এবং 'বাড়ি' বলতে  খ্রিস্টানদের স্বর্গকে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ান কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআইয়ের সঙ্গে ইতোমধ্যে দেখা করেছে। 

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
Domestic violence killing women in Bangladesh

Domestic violence in Bangladesh: When numbers speak of the silence

When we are informed that 133 women have been killed by their husbands in seven months, it is no longer just a number.

7h ago