শোক ও শ্রদ্ধায় ফিনল্যান্ডে ভাষা শহীদদের স্মরণ

নর্ডিক দেশ ফিনল্যান্ডে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় পালিত হয়েছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
হেলসিংকির অস্থায়ী শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শিশুদের শ্রদ্ধা নিবেদন। ছবি: সংগৃহীত

নর্ডিক দেশ ফিনল্যান্ডে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় পালিত হয়েছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

দিবসটি উপলক্ষে দুটি স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করেছে ফিনল্যান্ড ডাক বিভাগ।

২১ ফেব্রুয়ারি দিবসের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে রাজধানী হেলসিংকির কোনতুলায় অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানায় দেশটির বিভিন্ন কমিউনিটি।

প্রচণ্ড ঠান্ডা আর তুষারপাতের মধ্যেও দিবসটি পালনে বাংলাদেশিদের সঙ্গে বিদেশি বিশেষ করে শিশু কিশোরদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

দিবসের দ্বিপ্রহরে কনতুলা আর্ট স্কুলের আয়োজনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ আয়োজিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির স্থানীয় সংসদ সদস্য আত্তে কালেভা ভিডিও বার্তায় ফিনল্যান্ডে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, 'ফিনল্যান্ডে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ চলমান রয়েছে । হেলসিংকি সিটি করপোরেশনের প্রস্তাবিত নকশা নিয়ে কাজ করছে এবং খুব শীঘ্রই এ প্রকল্পের জন্য একজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।'

বিশেষ অতিথি ডেপুটি কাউন্সিলর সেইদা সোহরাবী বলেন, 'বিশ্বের প্রায় ৭৯০ কোটি মানুষ প্রায় ৭ হাজার ভাষায় কথা বলেন যার প্রায় অর্ধেকই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এসব মাতৃভাষা সংরক্ষণে সচেতনতা সৃষ্টির ওপর জোর দিতে হবে।'

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ফিনল্যান্ডে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ প্রকল্পের চেয়ারম্যান সংবাদ ২১ ডটকম সম্পাদক ভূইয়াঁ এন জামান ও প্রকাশক তাসলিমা জামান, কনতুলা আর্ট স্কুলের প্রধান হেইডি হ্যানিনেন এবং অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাতা আন্তি শিবাকপ ও প্রবাসী সংগঠক অনুরূপ টিটু।

লেখক: ফিনল্যান্ডপ্রবাসী বাংলাদেশি সংগঠক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Why planting as many trees as possible may not be the solution to the climate crisis

The heatwave currently searing Bangladesh has led to renewed focus on reforestation efforts. On social media, calls to take up tree-planting drives, and even take on the challenge of creating a world record for planting trees are being peddled

2h ago