মালয়েশিয়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপন

দিবসের আলোচনার শুরুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়ে শুনানো হয় এবং প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।
মালয়েশিয়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপন
প্রবাসীদের নিয়ে জাতির পিতার জন্মদিনের কেক কাটছেন হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে। 

১৭ মার্চ সকালে কুয়ালালামপুরে হাইকমিশন ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রমের সূচনা করেন হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার।

এ সময় জাতির পিতা, তার পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশিরা সেখানে অংশগ্রহণ করেন।

দিবসের আলোচনার শুরুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়ে শুনানো হয় এবং প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।

হাইকমিশনার গোলাম সারোয়ার তার বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন, শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তারাই ভবিষ্যতে দেশের নেতৃত্ব দিবে। শিশুরা যেন উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে তিনি সকল চেষ্টা করে গেছেন।

তিনি, শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ ও কল্যাণে আমাদের বর্তমানকে উৎসর্গ করে সকলে মিলে জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দল-মত নির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান ।

এছাড়াও, প্রবাসীদেরকে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।

অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে হাইকমিশন আয়োজিত শিশু কিশোরদের রচনা প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

সবশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনের কেক কাটা হয়।

লেখক: মালয়েশিয়াপ্রবাসী  বাংলাদেশি সাংবাদিক

Comments