নিউইয়র্কের ৬ শতাধিক মানুষ পেলেন রমজানের খাদ্যসামগ্রী

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবসেবামূলক প্রতিষ্ঠান শাহ্‌ ফাউন্ডেশন আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে বাংলাদেশি অধ্যুষিত নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস ও জ্যামাইকায় ৬ শতাধিক মানুষের মাঝে বিভিন্ন খ্যাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র, শাহ্‌ ফাউন্ডেশন, নিউইয়র্ক, জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা,
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবসেবামূলক প্রতিষ্ঠান শাহ্‌ ফাউন্ডেশন আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে বাংলাদেশি অধ্যুষিত নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস ও জ্যামাইকায় ৬ শতাধিক মানুষের মাঝে বিভিন্ন খ্যাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে।

গত ১৮ মার্চ বিকেলে জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেস্টুরেন্ট এবং ১৯ মার্চ বিকেলে জ্যামাইকায় রমজানের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল- চাল, মসুরের ডাল, খেজুর, কালা ছানা, তেল, মুড়ি, সেমাই ও মসলা।

শাহ্‌ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর মইনুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্ব ও আরেক ডিরেক্টর ফাহাদ সোলায়মানের পরিচালনায় আয়োজন করা হয়। এসময় সেখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জ্যাকসন হাইটস এলাকার অ্যাসেম্বলিওম্যান ক্যাটেলিনা ক্রুজ এবং জেসিকা রামোশ গঞ্জালেস।

অ্যাসেম্বলিওম্যান ক্যাটেলিনা ক্রুজ শাহ্‌ ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, 'এর আগে শাহ্‌ ফাউন্ডেশন মানবতার সেবায় অনেক কাজ করেছে। আমার অফিস থেকেও শাহ্‌ ফাউন্ডশনের কম্বল বিতরণ করা হয়েছিল। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় ধর্ম, মানুষের সেবা করা এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আমি সবসময় ভালো কাজের সঙ্গে আছি এবং থাকব। কমিউনিটিতে শাহ্‌ ফাউন্ডেশনের মতো আরও প্রতিষ্ঠান দরকার।'

তিনি আরও বলেন, 'রমজান হচ্ছে আত্মশুদ্ধির মাস, পবিত্র মাস। এ মাসে মানুষ সিয়াম সাধন করে। রোজার মধ্যে অনেকেই দারিদ্রতার কারণে পছন্দের জিনিসপত্র কিনতে পারেন না, সেই কাজটি শাহ্ ফাউন্ডেশন করে দিচ্ছে। আশা করি আগামীতেও তাদের এই সুন্দর কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে।'

শাহ্‌ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট শাহ্‌ জে. চৌধুরী বলেন, 'এই অনুদান আমাদের পরিবারের অনুদান। বিশেষ করে আমার বড় মেয়ে এই প্রতিষ্ঠানের কোফাউন্ডার এবং সিইও ফৌজিয়া জে. চৌধুরী দুটি আয়োজনের পুরো অনুদান দিয়েছে। হক এন্ড সন্স তাদের ক্রয় করা মূল্যে এসব পণ্য সরবরাহ করেছে। তারা কোনো লাভ করেনি।'

জ্যামাইকায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলম্যান জিম জিনারো।

কাউন্সিলম্যান জিম জিনারো শাহ্‌ ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, 'এটি একটি মহৎ উদ্যোগ। রমজান এবং ধর্মের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো অসহায় মানুষের সেবা করা। সেই মহৎ কাজটি করে যাচ্ছে শাহ্‌ ফাউন্ডেশন। আমি এই এলাকার বাংলাদেশি বন্ধু। আমি সব সময় বাংলাদেশিদের পাশে আছি এবং আগামীতেও থাকব।'

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শাহ্‌ ফাউন্ডেশন মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনটি শুধু নিউইয়র্কে নয় যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ ও ভারতে অসহায় মানুষের পাশে সাধ্যমতো দাঁড়িয়েছে। এর আগে, বন্যার সময়, করোনা মহামারিতে, শীতার্ত মানুষের দাঁড়িয়েছিল সংগঠনটি।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

4h ago