মালয়েশিয়ায় শেষ মুহূর্তের ঈদের কেনাকাটা জমজমাট

রাজধানী কুয়ালালামপুরের অনেক বাসিন্দা ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য নিজ নিজ শহরে ফিরতে শুরু করেছেন।
ঈদবাজারে ক্রেতাদের ভিড়। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে বিপণিবিতানগুলো।

রাজধানী কুয়ালালামপুরের অনেক বাসিন্দা ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য নিজ নিজ শহরে ফিরতে শুরু করেছেন। তবে রাজধানীতে থেকে যাওয়া অনেকে শেষ মুহুর্তের কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন।

এদিকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি মালিকানাধীন দোকানগুলোতে প্রবাসীদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও ভিড় করছেন পছন্দের পোশাক কিনতে। কেনাকাটার জন্য প্রবাসীরা ভিড় করছেন কুয়ালালামপুরের বড় বড় ফ্যাশন হাউজে। পছন্দের কেনাকাটার জন্য ছুটছেন এক বিপণিবিতান থেকে আরেক বিপণিবিতানে। বাংলাদেশি পোশাক এবার স্থানীয়দেরও নজর কাড়ছে।

প্রবাসে থেকেও পছন্দের দেশীয় পোশাক কিনতে পেরে খুশি প্রবাসীরা। ফরিদপুরের রাজু (২৬) মালয়েশিয়ার কেনাঙ্গা ফ্যাশন মলে একটি দোকানে কাজ করেন। এবার তিনি নিজের জন্য শার্ট আর প্যান্ট কিনেছেন। মাস শেষ না হলে বেতন মিলছে না। তবু দেশে থাকা মা-বাবা, ভাই-বোনদের ঈদের জামা কেনার টাকা পাঠিয়েছেন।

রাজু বলেন, 'পরিবার পরিজনরা খুশিমতো ঈদ করতে পারলেই আমার আনন্দ।'

বিক্রেতারা বলছেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা আছে। তাদের আশা, সামনে এ চাহিদা আরও বাড়বে।

কেনাকাটার জন্য জনপ্রিয় স্থান হিসেবে পরিচিত বেশ কয়েকটি শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি শপিংমলে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ইফতারের পর ভিড় আরও বেড়ে যায়।

কুয়ালালামপুরের সগো শপিংমলের বাথ অ্যান্ড বডি ওয়ার্কস আউটলেটের সহকারী ব্যবস্থাপক অ্যামি আরিফিন বলেন, 'রমজান মাসজুড়ে ক্রেতাদের ভিড় উৎসবের বাতাস বয়ে এনেছে।'

মজলিস আমানাহ রাকয়াত (মারা) বিল্ডিংয়ের একটি বাজু মেলায়ুর দোকানের কর্মী মুহদ নাসরাত মাহিরও একই কথা বলেন। তার ভাষ্য, ক্রেতারা সাধারণত বিকেলে ৪টার পর থেকে আসতে শুরু করেন। মাসজুড়েই ক্রেতা সমাগম ভালো ছিল।

এখানে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছিলেন আউনি সাফিয়াহ (১৮)। তার বাড়ি কেলান্তানে।

সাফিয়া বলেন, 'পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করছি। অনেক দোকান থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে পণ্য কেনা যাচ্ছে।'

জালান তারার কাপড় ব্যবসায়ী কামারুদ্দিন হুসেন বলেন, 'আজ থেকে ছাড় দেওয়া শুরু করেছি। আমি রমজানের শুরু থেকেই এখানে বিক্রি করছি। ক্রেতাদের সাড়া খুবই উত্সাহজনক। শেষ মুহূর্তে বিক্রি বাড়ায় বেশ কয়েকটি পণ্যে আকর্ষণীয় ছাড় দিয়েছি।'

লেখক:  মালয়েশিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago