আমিরাতে বাংলাদেশ মিশনে রোহিঙ্গাদের জন্য এনআইডির তদবির!

রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর বলেন, ‘এখানে (আমিরাত) যারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী রয়েছে, তারা বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের পরিচয়পত্র ব্যবহার করার চেষ্টা করছে, পাসপোর্ট ব্যবহারের চেষ্টা করছে।'
দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট। ছবি: সংগৃহীত

সংযুক্ত আরব আমিরাতে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাইয়ে দিতে তদবির চালাচ্ছেন কমিউনিটির কিছু নেতা। এ জন্য বাংলাদেশ মিশনে (দূতাবাস ও কনস্যুলেট) ধর্ণা দিচ্ছেন তারা।

এমন অভিযোগ তুলেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই মহলকে সতর্ক করেছেন তিনি।

গত ১৩ জুলাই দুবাই কনস্যুলেটে জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর বলেন, 'এখানে (আমিরাত) যারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী রয়েছে, তারা বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের পরিচয়পত্র ব্যবহার করার চেষ্টা করছে, পাসপোর্ট ব্যবহারের চেষ্টা করছে। আমরা অনেকভাবে দেখছি, বাংলাদেশ কমিউনিটির অনেক নেতাই বিভিন্ন সময় এ ধরনের লোকদের জন্য তদবির নিয়ে এসেছেন।'

তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশ সরকার ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে দেশে আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু তারা যেন দেশের নাগরিকত্ব না পায়, সেটি সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। তাদের মানবিকভাবে সহায়তা করা হয়েছে কিন্তু নাগরিকত্ব শেয়ার করা যাবে না।'

এ ব্যাপারে সতর্ক করে আবু জাফর বলেন, 'যারা তদবির নিয়ে আসেন, তারা ভালোভাবেই জানেন যে এরা (রোহিঙ্গা) বাংলাদেশের নাগরিক নয়। তাই যারা জানেন ও বোঝেন, তাদের সর্তক থাকতে হবে। যারা জানেন না, তাদেরও সর্তক করে দিতে হবে।'

নির্বাচন কমিশনের প্রকল্পের আওতায় গত মাস থেকে আমিরাতের আবুধাবি দূতাবাস ও দুবাই কনস্যুলেটে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম চালু করা হয়। চলতি সপ্তাহ থেকে শুরু স্মার্ট কার্ড বিতরণ । 

দূতাবাসের তথ্যমতে তথ্যমতে, দুবাইয়ে ১৭ কর্মদিবসে ৮৩৮ জনের আবেদন জমা হয়েছে। শতাধিক প্রবাসী ইতোমধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পেয়েছেন।

আমিরাতে প্রায় ১২ লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন। তাদের মধ্যে সিংহভাগ প্রবাসীরই জাতীয় পরিচয়পত্র নেই।

১৯৭০ সালে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয় মিয়ানমার। সেই সময়ে সাগরপথে আমিরাতে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়৷ এই সংখ্যা বর্তমানে ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে৷

লেখক: আমিরাতপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
Outcomes of Cop28

The consensus and clashes COP28 brought up

It is almost certain that in the end, some progress would be made on some of the contentious issues, but a decision to act on key areas will most likely be kicked down the road once again.

2h ago