মুক্তি পেলেন মালয়েশিয়ায় আটক বিএনপি নেতা কাইয়ুম

গত ১২ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থানের অভিযোগে এমএ কাইয়ুমকে আটক করে মালয়েশিয়া অভিবাসন পুলিশ।
এমএ কাইয়ুম। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের হাতে আটক বিএনপি নেতা এমএ কাইয়ুম ২৮ দিন পর মুক্তি পেয়েছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ৬১ বছর বয়সী এম এ কাইয়ুম পুত্রজায়ার অভিবাসন আটক কেন্দ্র থেকে মুক্তি পান গত ৮ ফেব্রুয়ারি। এ সময় তার স্ত্রী শাহামিন আরা বেগম, মেয়ে অর্ণিতা তাসনিম আনকাউর এবং আইনজীবী এডমন্ড বন উপস্থিত ছিলেন।

অর্ণিতা বলেন, 'বাবা জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারের দিন থেকে তার সঙ্গে খুব ভালো আচরণ করেছেন অভিবাসন বিভাগের কর্মকর্তারা।'

গত ১২ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থানের অভিযোগে এমএ কাইয়ুমকে আটক করে মালয়েশিয়া অভিবাসন পুলিশ। এ অভিযোগে তাকে দেশ থেকে নির্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

২৪ জানুয়ারি অভিবাসন বিভাগ থেকে নির্বাসনের চিঠি পেয়ে কাইয়ুমের পরিবার আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে যান।

কাইয়ুমকে দেশে ফেরত পাঠানো হলে তার জীবন হুমকির মুখে পড়বে জানিয়ে তার মুক্তির জন্য সরকারের কাছে আবেদন করে পরিবার।

৩১ জানুয়ারি কুয়ালালামপুর হাইকোর্ট অভিবাসন বিভাগকে আদালতের একটি আদেশ মেনে চলতে বাধ্য করে যাতে ৫ এপ্রিল হ্যাবিয়াস কর্পাস আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এমএ কাইয়ুমের নির্বাসন স্থগিত করা হয়।

হাইকোর্টের ৩১ জানুয়ারির সিদ্ধান্তের পর কাইয়ুমের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল গণমাধ্যমকে বলেছেন, 'অভিবাসন বিভাগ আদালতের আদেশ মেনে চলবে।'

তিনি বলেন, 'আমি তার (কাইয়ুমের) আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং বলেছি, অভিবাসন বিভাগ বিচারিক প্রক্রিয়া মেনে চলবে। আদালত যতক্ষণ পর্যন্ত তার অবস্থার বিষয়ে সিদ্ধান্ত না দেয়, অভিবাসন বিভাগ তাকে নির্বাসন দেবে না।'

২০১৩ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় 'সেকেন্ড হোম' হিসেবে অবস্থান করছেন এমএ কাইয়ুম। এর পাশাপাশি জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তালিকাভুক্ত শরণার্থী হিসেবেও মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন তিনি।

 

Comments