সিডনির বাংলাদেশ কনস্যুলেটে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করছে অস্ট্রেলিয়ান আর্মি ব্যান্ড দল। ছবি: সংগৃহীত

সিডনিতে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। 

২৬ মার্চ কনস্যুলেট জেনারেলের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হয়। এরপর স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। 

বাঙালির অধিকার আদায় ও মুক্তিসংগ্রামে বিভিন্নভাবে যারা অবদান রেখেছেন তাদের জন্য করা হয় বিশেষ মোনাজাত। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

২৮ মার্চ রুপন্তি আকিদের উপস্থাপনায় স্থানীয় এক পাঁচতারকা হোটেলে আয়োজিত হয় বিশেষ অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান। 

মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে অস্ট্রেলিয়ান আর্মি ব্যান্ড দল।  

সেখানে উপস্থিত ছিলেন নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের কয়েকজন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, কূটনীতিক, বিভিন্ন দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন পেশার প্রবাসীরা।  

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের প্রিমিয়ার ক্রিস মিনস। 

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়ন শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যসমূহ এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি তুলে ধরে নানাবিধ জিআই পণ্যের প্রদর্শনী করা হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের তাৎপর্য তুলে ধরে কনসাল জেনারেল মো. সাখাওয়াত হোসেন স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ হতে আরও পণ্য আমদানি করার জন্য অস্ট্রেলিয়ার ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের প্রিমিয়ার ক্রিস মিনস বলেন, 'বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যে মধ্যে অস্ট্রেলিয়া অন্যতম।'

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির মধ্যে অন্যতম দেশ এবং বাংলাদেশ দারিদ্র্য নিরসন চমকপ্রদ ভূমিকা রেখেছে।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

5h ago