সিডনির শপিংমলে হামলাকারী সম্পর্কে যা জানা গেল

হামলাকারীর বয়স ৪০ বছর এবং তিনি অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্রনগরী কুইন্সল্যান্ডের অধিবাসী।
জোয়েল কাউচি। ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যনগরী সিডনির বন্ডাই জংশনে ওয়েস্টফিল্ড শপিং সেন্টারে ছুরিকাঘাতে ছয়জনকে হত্যা ও নয়জনকে আহতকারীর পরিচয় পাওয়া গেছে।

আজ রোববার সকালে দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সহকারী পুলিশ কমিশনার অ্যান্টনি কুক জানিয়েছেন, হামলাকারীর নাম জোয়েল কাউচি। তার বয়স ৪০ বছর এবং তিনি অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্রনগরী কুইন্সল্যান্ডের অধিবাসী।

তিনি জানান, জোয়েল কাউচি গত মাসে ব্রিসবেন থেকে সিডনি এসেছিলেন। কাউচি তার নিজ রাজ্যে পুলিশের কাছে পরিচিত ছিলেন। তিনি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন।

ওয়েস্টফিল্ড শপিং সেন্টারে নিহতদের স্মরণ করেন দেশটির সাধারন মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

অ্যান্টনি কুক বলেন, 'জোয়েল কাউচির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা আমাদের সহযোগিতা করছেন।'

'পুলিশ এখনো হামলার কারণ নিশ্চিত হতে পারেনি। এই পর্যায়ে মনে হচ্ছে যে এটি জড়িত ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। কারণ, আমরা জানি যে এই ঘটনার অপরাধী মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যায় ভুগছিলেন,' যোগ করেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অ্যান্টনি কুক বলেন, 'আমরা এমন কোনো প্রমাণ কিংবা এমন কোনো গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতে পারিনি, যা থেকে বোঝা যায় যে এটি কোনো বিশেষ অনুপ্রেরণা বা আদর্শ থেকে সংঘটিত হয়েছে।'

গতকাল ওয়েস্টফিল্ড শপিং সেন্টারে হামলায় পাঁচ নারী ও এক পুরুষসহ ছয়জন নিহত হন।

সিডনির ডেইলি টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন অ্যাশ গুড, যিনি তার আহত নয় মাসের শিশুটিকে অপরিচিতদের হাতে তুলে দিয়ে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করেন।

রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রায়ান পার্ক বলেছেন, অ্যাশ গুড মারা গেছেন এবং তার মেয়ে হ্যারিয়েট র‍্যান্ডউইকের চিলড্রেন হাসপাতালের আইসিইউতে গুরুতর অবস্থায় আছে।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ছয়জনের মধ্যে দুজন বিদেশ থেকে এসেছেন এবং অস্ট্রেলিয়ায় তাদের কোনো পরিবার বা স্বজন নেই।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments