মিশরে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ঈদ উপহার দিলো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা

‘গাজায় আমাদের সহযোগিতামূলক নানামুখী কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধে‌ গাজার‌‌ লাখো মানুষ বাস্তুভিটা হারিয়ে একদিকে যেমন মানবেতর জীবনযাপন করছে, অন্যদিকে কেউ পরিবারের সবাইকে হারিয়ে, কেউবা সন্তান‌ হারিয়ে আজ‌ বিভীষিকাময় এক কঠিন পরিস্থিতির শিকার হয়ে আশ্রয় নিচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ মিশরে।‌

মিশরে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পরিচালিত ওয়ার্ল্ড ওয়ান‌ উম্মাহ ফাউন্ডেশন শরণার্থীদের এসব উপহার হস্তান্তর করে। আল-আজহার‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদে অধ্যয়নরত‌ ৩০ ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী এসব উপহার পান। এই আয়োজনের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় ছিল চ্যারিটি ফান্ড আজহারের‌ জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটিজ‌ ফাউন্ডেশন।

গতকাল মিশরের রাজধানী কায়রোর সিটি স্টার শপিং মলে আমেরিকাভিত্তিক বাংলাদেশি প্রবাসীদের চ্যারিটি ফান্ড ইলমান‌ নাফিয়া‌র পক্ষ থেকে আয়োজিত এই ঈদ অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ঈদের উপহার ও আর্থিক সহায়তা তুলে দেন হুজাইফা খান।‌

এর আগে ওয়ার্ল্ড ওয়ান‌ উম্মাহ ফাউন্ডেশন, আল-আজহার‌ জাকাত অ্যান্ড‌ চ্যারিটিজ‌ ফাউন্ডেশনের‌ অধীনে‌ যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসী ও বাংলাদেশের বিভিন্ন চ্যারিটি‌ ফাউন্ডেশনের পাঠানো অনুদান দিয়ে ২২টি কনটেইনার (লরি‌) বোঝাই‌ ত্রাণসামগ্রী মিশর সীমান্ত দিয়ে পাঠিয়েছে গাজায়।‌

ওয়ার্ল্ড ওয়ান‌ উম্মাহ ফাউন্ডেশনের সভাপতি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হুজাইফা‌ খান বলেন, আগামী সপ্তম দফায়‌ ইলমান‌ নাফিয়া‌‌ চ্যারিটিজ ফাউন্ডেশনের‌ খাদ্যসামগ্রীর‌ লরি‌সহ‌ বাংলাদেশের‌ বিভিন্ন চ্যারিটি‌জ ফাউন্ডেশনের আর‌ও ১৫টি‌ লরি ওয়ার্ল্ড ওয়ান‌ উম্মাহ ফাউন্ডেশনের‌ তত্ত্বাবধানে গাজায়‌ পৌঁছে যাবে।

'গাজায় আমাদের সহযোগিতামূলক নানামুখী কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সবার সম্মিলিত উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে‌ আশা করি‌ অচিরেই প্রথম কিবলার‌ স্বাধীনতাকামী গাজার ভাই-বোনদের মাঝে পরিপূর্ণ কল্যাণ অধিকার, সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে', বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Preparing for Ramadan's Price Shocks

Power price to go up 4 times a year

The government has drawn up a plan to increase the price of electricity four times a year for the next three years to withdraw all subsidies in the power sector, which the IMF recommends.

1h ago