কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশিরা

কিরগিজস্তানে একজনকে মারধর করা হচ্ছে। ভিডিও ফুটেজ থেকে নেওয়া। ছবি: প্রথম আলোর সৌজন্যে

কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের ওপর সহিংস জনতা হামলা চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

বিশকেকে পাকিস্তানের মিশন জানিয়েছে, ১৭ মে রাতে শুরু হওয়া সহিংসতার মধ্যে বিশকেকের কয়েকটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে হামলা হয়েছে—যেখানে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা বসবাস করেন।

কিরগিজ সরকার জানিয়েছে, ১৭-১৮ মে রাতে বিশকেকে জনতার সহিংসতায় বেশ কয়েকজন বিদেশিসহ কমপক্ষে ২৮ জন আহত হওয়ার পর চারজন বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এই সহিংসতার বিষয়ে পাকিস্তান ও ভারত কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দেশ দুটি বিশকেকে তাদের শিক্ষার্থীদের বাড়ির ভেতরে অবস্থান করার জন্য সতর্ক করেছিল।

রেডিও ফ্রি ইউরোপ জানিয়েছে, ১৩ মে মিশরের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিরগিজ শিক্ষার্থীদের বিবাদের একটি ভিডিও অনলাইনে ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়ার পর এই সহিংসতা শুরু হয়।

যাদের মারধর করা হয়েছে তারা কিরগিজ যুবক বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহারকারীরা দাবি করার পর শুক্রবার রাতে বিশকেকের বেশ কয়েকটি স্থানে উত্তেজিত জনতা জড়ো হয়।

শনিবার বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী তাদের নিরাপত্তার জন্য ইউএনবির কাছে সহায়তা চেয়েছিলেন।

স্থানীয় সময় ১৮ মে এই হামলার শিকার হন দেশটিতে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরা।

কিরগিজস্তানের ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব মেডিসিনের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সামিয়া কবির শনিবার সন্ধ্যায় ইউএনবিকে বলেন, 'আমরা এখানে পাঁচজন বাংলাদেশি মেয়ে আছি। আমরা এখন আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরে আছি। আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের সামনে কিছু লোক জড়ো হচ্ছে। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন।'

সামিয়া আরও বলেন, 'কর্তৃপক্ষ আমাদের ভেতরে থাকতে বলেছে। আমরা কাছাকাছি অন্যান্য অ্যাপার্টমেন্ট থেকে কিছু আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি। সেখানে কিছু পাকিস্তানি থাকতে পারে।'

ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, 'আমরা শিগগির একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন শেয়ার করব। উজবেকিস্তানে আমাদের মিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশির হতাহতের খবর আমরা পাইনি। আমরা আমাদের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।'

কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বর্তমানে বিশকেকের পরিস্থিতি 'পুরোপুরি শান্ত এবং সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে' রয়েছে।

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তারা গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, ব্লগিং সম্প্রদায় এবং বিদেশি সহকর্মীদের শুধুমাত্র কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া সরকারি এবং যাচাইকৃত তথ্যের ভিত্তিতে খবর পরিবেশন করতে বলেছে।

Comments

The Daily Star  | English
chief adviser yunus confirms election date

Election in first half of February

'I will send a letter to the CEC requesting that the Election Commission holds the election before the upcoming Ramadan,' says Yunus

3h ago