যুদ্ধবাজ জোসেফকে ধরতে অ্যাঞ্জেলিনার ফাঁদ!

অস্কার বিজয়ী হলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি উগান্ডার যুদ্ধবাজ জোসেফ কোনিকে ধরতে ফাঁদ পেতেছিলেন বলে খবর বেরিয়েছে।
Angelina Jolie
অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। ছবি: এএফপি ফাইল ফটো

অস্কার বিজয়ী হলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি উগান্ডার যুদ্ধবাজ জোসেফ কোনিকে ধরতে ফাঁদ পেতেছিলেন বলে খবর বেরিয়েছে।

মিডিয়াপার্ট নামের একটি ফরাসি ওয়েবসাইট সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রায় ৪০ হাজার নথি ঘেঁটে এ তথ্য প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটেনের দ্য সান ডে টাইমস।

খবরে প্রকাশ, জোলি যুদ্ধবাজ জোসেফকে ধরতে তাকে নিয়ে একটি ডিনারের ব্যবস্থা করতে রাজি হয়েছিলেন। এ কাজে জোলিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে ছিলেন তাঁর সাবেক স্বামী ও অভিনেতা ব্র্যাড পিট। সেসময় মার্কিন বিশেষ বাহিনীর সঙ্গে পিটের সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে যাওয়া কথা ছিলো।

সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, ঘটনাটি ঘটেছিলো ২০০৩ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে। আইসিসির তৎকালীন প্রধান কৌসুলি মোরেনো ওকাম্পোর এক ইমেলে দেখা যায়, জোলি জোসেফকে একটি নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানাতে রাজি হয়েছেন। তারপর, তাকে গ্রেফতার করা হবে এমনটিই ছিলো পরিকল্পনায়।

ইমেইলে ওকাম্পো লিখেছেন, “অন্য অভিনেত্রীদের কথা ভুলে যাও। তিনিই যথেষ্ট। তিনি চান (জোসেফ) কোনিকে গ্রেফতার করা হোক। তিনি প্রস্তুত রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ব্র্যাড (পিট)-এর যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

অন্য এক ইমেইলে তিনি জোলিকে লিখেন, “আশা করা হচ্ছে, (যুক্তরাষ্ট্রের) বিশেষ বাহিনী তোমাদের সঙ্গে থাকবে। তারা জোসেফকে খুঁজছে।” ইমেইলটিতে জোলিকে জিজ্ঞেস করা হয়, “ব্র্যাড কি তোমার সঙ্গে যাবে?”

উত্তরে জোলি লেখেন, “ব্র্যাড অনেক সহযোগিতা করে। অন্যান্য বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলা দরকার। অনেক ভালোবাসা থাকল।”

দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে ওকাম্পো বলেন, “অবৈধ উপায়ে পাওয়া তথ্য দিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে।”

এদিকে, জোলির পক্ষ থেকে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, আইসিসি ২০০৫ সালে উগান্ডার লর্ড’স রেসিসটেন্স আর্মি (এলআরএ)-র নেতা জোসেফ কোনিকে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করে। এ বাহিনীর নির্যাতনের বিভিন্ন চিত্র প্রচারের ফলে ২০১২ সাল থেকে আত্মগোপনে যায় এই গেরিলা যোদ্ধা।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago