নজরুল মঞ্চে উদীচীর বর্ষা মঙ্গল

আজ পহেলা আষাঢ়। আকাশে ঘন কালো মেঘের আনাগোনা হলেও বৃষ্টির দেখা মেলেনি। এমনি এক মনোরম আবহাওয়ায় নাচ, গান, আবৃত্তি ও নাটক দিয়ে বরণ করে নেওয়া হলো সমৃদ্ধির ঋতু বর্ষাকে।
আজ সকালে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজন করে বর্ষা বরণ উৎসব।
ষড়ঋতুর অন্যতম সৌন্দর্যমণ্ডিত, প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর বর্ষা ঋতুকে এবার বরণ করা হয় চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড়ধস ও পাহাড়ি ঢলে নিহতদের স্মরণের মধ্য দিয়ে। সকলের মঙ্গল কামনায় অনুষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে বর্ষা বরণের পরিবর্তে রাখা হয় বর্ষা মঙ্গল। এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয় নিহতদের স্মৃতির প্রতি।
এরপর শেখ আবু জাফরের একক বাঁশি বাজানোর মাধ্যমে শুরু হয় উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। তিনি বাঁশিতে “মেঘ মেদুর বর্ষায় কোথা তুমি” গানটির সুর তোলেন।
“নীল অঞ্জন ঘন কুঞ্জ ছায়ায়” গানটির সঙ্গে একক নৃত্য পরিবেশন করেন বেনজীর আহমেদ লিয়া। ডালিয়া আহমেদের আবৃত্তি পরিবেশনের পর অনিক বসুর পরিচালনায় “স্পন্দন”-এর শিল্পীরা “মেঘের পালক” গানটির সঙ্গে পরিবেশন করেন দলীয় নৃত্য।
অনুষ্ঠানে লোকসংগীতশিল্পী বিমান চন্দ্র বিশ্বাস পরিবেশন করেন “আষাঢ় মাইস্যা ভাসা পানি রে” গানটি। এরপর, আবৃত্তি নিয়ে উপস্থিত হোন বেলায়েত হোসেন।
উদীচীর শিল্পীদের পরিবেশনায় উপস্থাপন করা হয় গীতি আলেখ্য “বিহ্বল বর্ষায়”। গান, নাচ ও আবৃত্তির সমন্বয়ে রচিত গীতিনৃত্যালেখ্যে বর্ষার নানা রূপ ও স্বাদের সঙ্গে পরিচয় ঘটানো হয়।
মঞ্চে দলীয় পরিবেশনা উপস্থাপন করেন স্বপ্নবীণা এবং উদীচীর শিল্পীরা। ইকবাল খোরশেদের একক আবৃত্তির পর একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন শামীম আল মামুন, সাজেদা বেগম সাজু, অবিনাশ বাউল, মায়েশা সুলতানা ঊর্বি এবং জাকির হোসেন।
অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয় বর্ষায় হাওড় অঞ্চলের মানুষদের জীবনসংগ্রাম নিয়ে নাটিকা “হাওরনামা”।
এছাড়াও, “বর্ষা ঘোষণা” পাঠের মাধ্যমে প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার উপর জোর দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়।
Comments