নায়করাজ অভিনীত আলোচিত ৫ সিনেমা

Ananta-Prem

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে নায়করাজ রাজ্জাক একটি অতি উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। তাঁকে বাদ দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস কল্পনা করাও সম্ভব নয়। দেশের চলচ্চিত্রের গভীর থেকে গভীরে তাঁর বিস্তার। তাঁর অভিনীত সেরা পাঁচটি চলচ্চিত্রের খবর দেওয়া হলো দ্য ডেইলি স্টার অনলাইন পাঠকদের জন্য।

ছুটির ঘণ্টা

শিশুতোষ চলচ্চিত্র হিসেবেই সমধিক পরিচিত ‘ছুটির ঘণ্টা’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন আজিজুর রহমান। ঈদের ছুটি ঘোষণার দিন স্কুলের বাথরুমে তালাবদ্ধ হয়ে আটকে পড়ে ১২ বছর বয়সের এক ছাত্র। সেখানেই দীর্ঘ ১১ দিন কাটে তার। স্বজনদের প্রতীক্ষার মধ্য দিয়ে ফুটে ওঠে করুণ চিত্র।

ছবিটিতে আব্বাস নামের দপ্তরির ভূমিকায় অভিনয় করে সবার মন জয় করে নেন রাজ্জাক।এতে আরও অভিনয় করেন শাবানা, সুজাতা, শওকত আকবর, এটিএম শামসুজ্জামান ও শিশুশিল্পী সুমন। সিনেমাটি ১৯৮০ সালে মুক্তি পায়।

অনন্ত প্রেম

১৯৭৭ সালে মুক্তি পায় ‘অনন্ত প্রেম’ ছবিটি। রাজ্জাক-ববিতা জুটির দারুণ ব্যবসা-সফল ছবি এটি। সঙ্গে ছিলেন আনোয়ারা, রওশন জামিল, এটিএম শামসুজ্জামান, ব্ল্যাক আনোয়ার প্রমুখ। ‘অনন্ত প্রেম’ চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেন আজাদ রহমান।

পরিচালক হিসেবে রাজ্জাকের প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটে ‘অনন্ত প্রেম’ শিরোনামের এই বিয়োগান্ত প্রেমের ছবিটিতে। গল্পের শেষে নায়ক-নায়িকা দুজনই মারা যান। সীমান্ত পার হয়ে পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় তারা। ছবির শেষ দৃশ্যে মরতে মরতে নায়ক নায়িকাকে চুম্বন করে। ১৯৭৭ সালে বিষয়টা এত সহজ ছিল না। মজার ব্যাপার হচ্ছে, কোনও প্রতীকী চুম্বন ছিল না সেটা।

বেঈমান

রাজ্জাক অভিনীত আলোচিত ও সফল ছবি ‘বেঈমান’। তার নায়িকা ছিলেন কবরী। গানগুলোও বেশ জনপ্রিয়তা পায়। ‘বেঈমান’ পরিচালনা করেন রুহুল আমিন। ২০১৩ সালে ছবিটি রিমেকের ঘোষণা এসেছিল রাজ্জাকের পরিবার থেকে। পাশাপাশি তারা এটাও বলেছিলেন যে ঠিক রিমেক নয়, ‘বেঈমান’ নামটি নিয়ে নতুন গল্পের ছবি তৈরি করবেন তারা। কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি।

বড় ভালো লোক ছিল

‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুশ’ কিংবা ‘তোরা দেখ দেখ রে চাহিয়া’ গানগুলো যারা শুনেছেন তারা জানেন ছবিটির নাম। ‘বড় ভালো লোক ছিল’ মুক্তি পায় ১৯৮২ সালে। পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। এটি রাজ্জাককে অভিনেতা হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব এনে দেয়। পেয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ছবিটিতে তার সহশিল্পী ছিলেন প্রবীর মিত্র, অঞ্জু ঘোষ ও সাইফুদ্দিন আহমেদ।

রংবাজ

১৯৭৩ সালে জহিরুল হক পরিচালিত ছবিটির মাধ্যমে প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন রাজ্জাক। ছবির ‘হৈ হৈ হৈ রঙিলা’, ‘সে যে কেন এলো না’ গান দুটো এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। বাংলা চলচ্চিত্রের পালাবদলে এ ছবিটি বিরাট ভূমিকা রাখে। রাজ্জাক তাঁর রোম্যান্টিক ইমেজ ভেঙে এ ছড়িতে অ্যান্টি-হিরোর নতুন ইমেজ দাঁড় করান। সত্তর দশকের ‘রংবাজি’ ইমেজের মধ্যে তিনি ইতিবাচক রূপ ফুটিয়ে তোলেন। এ ছবিতে তার সঙ্গে ছিলেন মিষ্টি মেয়ে কবরী। ছবিটি দারুণ জনপ্রিয়তা পায়।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus opens second round of talks to strengthen national unity

'Beautiful July Charter' would be unveiled following discussions, he says

2h ago