বিশ্বজুড়ে পথখাবার

ভ্রমণের সঙ্গে ভোজনের সম্পর্ক চিরায়ত। কোথাও ভ্রমণে গিয়ে সেখানকার খাবার চেখে না দেখলে ভ্রমণ কেমন যেন অপূর্ণই থেকে যায়।এখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কিছু অসাধারণ পথখাবারের পরিচিতি তুলে ধরা হলো। খাবারগুলোয় প্রতীয়মান সে দেশের স্বাদ, বৈশিষ্ট্য ও ঐতিহ্য।

ভ্রমণের সঙ্গে ভোজনের সম্পর্ক চিরায়ত। কোথাও ভ্রমণে গিয়ে সেখানকার খাবার চেখে না দেখলে ভ্রমণ কেমন যেন অপূর্ণই থেকে যায়। কেউ প্যারিস থেকে ঘুরে এসেছে কিন্তু সেখানকার ‘ক্রেপে’ খায়নি কিংবা হংকংয়ে গিয়ে ‘এগ ওয়াফেল’ না খেয়েই ফেরত এসেছে এমন দুর্ভাগা পর্যটক খুব কমই মেলে। তেমনি জ্যামাইকা ভ্রমণে গেলে কেউ সেখানকার ‘জার্ক চিকেন’ না খেয়ে ফেরে না। এখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কিছু অসাধারণ পথখাবারের পরিচিতি তুলে ধরা হলো। খাবারগুলোয় প্রতীয়মান সে দেশের স্বাদ, বৈশিষ্ট্য ও ঐতিহ্য।

আরিপাস
আরিপাস

আরিপাস, মিলবে কলম্বিয়ার বোগোটায়। সকালের নাশতা হিসেবে আরিপাসের বিকল্প নেই। তবে কলম্বিয়ানরা দুপুরের স্ন্যাক্স হিসেবেও খায় এটি। এতে থাকে চিজ, বাটার, ডিম, কনডেন্সড মিল্ক আর পেঁয়াজের তৈরি এক ধরনের সস, যার নাম ‘হোগাও’।

বান মি
বান মি

ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটিতে মিলবে ‘বান মি’ নামক একটি পথখাবার। এটি মূলত রুটির সহজাত। বান মি খাবারটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ফ্রেঞ্চদের উপনিবেশেরই ফল। এতে রয়েছে পশ্চিম এবং পূর্বের খাবারের মিশেল। গ্রিল করা মিটবল এবং অন্যান্য উপকরণে পূর্ণ থাকে বান মি ব্রেড। বাড়তি দেয়া থাকে কলিজা, শসার ফালি, গাজরের আঁচার, ধনেপাতা, মুলাকুচি আর মেয়নিজ। বিভিন্ন দেশে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে খাবারটি।

ভেলপুরি
ভেলপুরি

মুম্বাইয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্ট্রিটফুডের নাম ভেলপুরি। ভারতের অন্যান্য অংশেও খুব চলে খাবারটি। এতে সবজি, মসলা ও চাটনি দেয়া হয়। হালকা মিষ্টি, লবণ, টক এবং মসলার স্বাদ মেলে এতে। শহুরে রাস্তা কিংবা সমুদ্র সৈকতে, উভয় জায়গায় পাওয়া যায় ভেলপুরি।

দুরুম
দুরুম

‘দুরুম’ হচ্ছে ইস্তাম্বুলের বিখ্যাত একটি স্ট্রিট ফুড। দুরুম বলতে রোল বোঝায়। পাতলা রুটির মধ্যে অনেক ধরনের উপকরণ পেঁচানো থাকে। রোলের ভেতরে সাধারণত ভেড়ার মাংসের মসলাপূর্ণ কাবাব থাকে। তবে মুরগি ও গরুর দুরুমও পাওয়া যায়। এর সঙ্গে দেয়া হয় পেঁয়াজ, টমেটো, শসা এবং লেটুসকুচি। পরিবেশন করা হয় হট সস এবং হারবাল দেয়া দই সহযোগে। জার্মানিতেও দুরুম একটি জনপ্রিয় স্ট্রিটফুড।

চোরিপান
চোরিপান

আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে মিলবে ‘চোরিপান’ এটি আসলে সসেজ স্যান্ডউইচ। এটি একাধারে চিলি, ব্রাজিল, পেরু, উরুগুয়ে, বলিভিয়া এবং ভেনেজুয়েলার জনপ্রিয় খাবার। গরু বা শূকরের মাংসের গ্রিল করা সসেজ-আঠালো ব্রেডের মধ্যে দিয়ে দেয়া হয়। সঙ্গে থাকে চিমিচুরি সস।

সুপ্পলি
সুপ্পলি

‘সুপ্পলি’ হলো রোমের ব্যাপক জনপ্রিয় একটি স্ট্রিটফুড। বলের মতো দেখতে এ খাবারের ভেতরে মোজ্জারেলা চিজ দেয়া হয়। তবে মুরগির মাংসও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। রোমের রাস্তার পাশের যেকোনো পিজ্জার দোকানে এর দেখা মেলে।

তাজিন
তাজিন

মরক্কোর শহর মারাকাসে মিলবে ‘তাজিন’ নামক একটি পথখাবার। এটি আসলে উত্তর-আফ্রিকা থেকে আসা আদিবাসীদের স্টু। জ্বলন্ত কয়লার ওপর কয়েক ঘণ্টা ধরে রান্না করা হয় তাজিন। এর মূল উপকরণ হলো- ভেড়া, গরু বা মুরগির মাংস, সবজি এবং প্রচুর পরিমাণে মসলা। এ ছাড়াও ফল ও বাদাম দেয়া হয় এতে। সাধারণত রুটির সঙ্গে খেতে দেয়া হয় তাজিন। গোটা মরক্কোতেই এ পথখাবারটি দারুণ জনপ্রিয়।

টাকোস আলপাস্তর
টাকোস আলপাস্তর

মেক্সিকো সিটির স্ট্রিটফুডের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছে ‘টাকোস আলপাস্তর’। এর রান্নায় শুকনো মরিচ, মসলা এবং আনারসের ব্যবহার ঘটে। অতঃপর পেঁয়াজ, ধনেপাতা এবং আনারসের ছোট টুকরো দিয়ে পরিবেশন করা হয়।

রউজিয়া মো
রউজিয়া মো

‘রউজিয়া মো’, চীনের পথে-পথে এর দেখা মিলবে। একে পৃথিবীর প্রাচীনতম স্যান্ডউইচের মধ্যে একটি বলা হয়। প্রায় দু’হাজার বছর ধরে মানুষ খায় এটি। রউজিয়া মো তৈরিতে প্রচুর পরিমাণে মাংস ও মসলা ব্যবহৃত হয়। এতে শূকরের মাংস দেয়া হয়। তবে মুসলমানদের জন্য গরুর মাংসের রউজিয়া মো রয়েছে। চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে এ পথখাবারটির বহুল জনপ্রিয়।

ছবি : সংগ্রহ

Comments

The Daily Star  | English

Goods worth Tk 16k imported at Tk 2.59 crore

State-run Power Grid Company of Bangladesh Ltd (PGCBL) imported 68 kilograms of tower bolts, nuts and washers from India for a whopping $2,39,695 or Tk 2.59 crore, which is 1,619 times the contract value.

9m ago