ভেঙে ফেলা হচ্ছে কিশোর কুমারের পৈত্রিক বাড়ি

ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী কিশোর কুমারের পৈতৃক বাড়ি গাঙ্গুলি হাউজ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। জরাজীর্ণ হয়ে ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় স্থানীয় পৌরসভার পক্ষ থেকে বাড়িটি ভাঙার নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
১৯২৯ সালে ৪ আগস্ট ভারতের মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়ার ওই গাঙ্গুলি হাউজেই জন্মেছিলেন আভাস কুমার গঙ্গোপাধ্যায় যাকে আমরা সবাই চিনি কিশোর কুমার নামে। বাংলা, হিন্দি, মারাঠি, মালায়লাম ভাষা ছাড়াও ভারতের ২৬টি প্রাদেশিক ভাষা এবং আঞ্চলিক ভাষাতেও যার সঙ্গীত স্রোতাদের মন জুড়ে রয়েছে।
মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের রাজধানী ভোপাল। সেখান থেকে প্রায় একশো কিলোমিটার দূরের খান্ডোয়া গ্রাম। আর ওই গ্রামের দ্বিতল বাড়িতেই শুধু কিশোর কুমারের শৈশব কাটেনি। বরং তাঁর দুই ভাই অশোক কুমার ও অনুপ কুমারের শৈশবের নানা স্মৃতি-খুনসুটি লেগে আছে দেওয়ালে-দেওয়ালে।
সেই বাড়িটি আজ ঝুঁকিপূর্ণ, তাই স্থানীয় খান্ডোয়া পৌরসভার পক্ষ থেকে সেটা ভেঙে ফেলার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই ভাঙা হবে স্মৃতি বিজড়িত গাঙ্গুলি বাড়ি।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, ‘কিশোর কুমার পৈতৃক বাড়ির দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা শীতারাম মাটিয়া বলেছেন যে ওই বাড়ির অবস্থা খুবই খারাপ। যেকোনো সময় ভেঙে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বাড়িটি খুব শিগগিরই ফাকা করে দেওয়া হবে। যাতে পৌরসভা ভেঙে ফেলার কাজে হাত দিতে পারে’।
কিশোরের বড় ভাই অনুপ কুমারের ছেলে অর্জুন কুমারের পরিবার বর্তমানে মুম্বাইতে থাকেন। তাই ওই বাড়িটি এখনও তাদের থাকার প্রয়োজন নেই। গণমাধ্যমে অর্জুনও জানিয়েছেন যে, ওই বাড়িটি মিউজিয়াম করার উদ্যোগ নিয়েছিল স্থানীয় পৌরসভা। কিন্তু সেটা এখনও হয়নি। ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ি বলে সেটা যত দ্রুত সম্ভব ভেঙে ফেলা প্রয়োজন। এই কাজে তাদের কোনও আপত্তি নেই বলেও জানান কিশোর কুমারের ভাইয়ের ছেলে।
Comments