মেয়েদের ভ্রমণবৃত্তান্ত এবং অন্যান্য

ট্রাভেলার নামটার সঙ্গে পরিচয় সবার। এর সঙ্গে পরিচয় থাকলেও একেবারেই অজানা ট্রাভেলেটস শব্দটি। অবশ্য সেটা অস্বাভাবিক কিছু নয়, যেখানে মেয়েদের ঘর থেকে পা ফেলার আগেই মুখোমুখি হতে হয় পুরো সমাজের, সেখানে মেয়েদের ঘুরে বেড়ানোর বিষয়টি কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে? হ্যাঁ, মেয়ে ভ্রমণকারীদের বোঝাতেই ট্রাভেলেট শব্দটি ব্যবহার করা হয়।

ট্রাভেলার নামটার সঙ্গে পরিচয় সবার। এর সঙ্গে পরিচয় থাকলেও একেবারেই অজানা ট্রাভেলেটস শব্দটি। অবশ্য সেটা অস্বাভাবিক কিছু নয়, যেখানে মেয়েদের ঘর থেকে পা ফেলার আগেই মুখোমুখি হতে হয় পুরো সমাজের, সেখানে মেয়েদের ঘুরে বেড়ানোর বিষয়টি কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে? হ্যাঁ, মেয়ে ভ্রমণকারীদের বোঝাতেই ট্রাভেলেট শব্দটি ব্যবহার করা হয়।

মানসী তুলি ও সাকিয়া হক- ঢাকা মেডিক্যালের দুই বন্ধু। নিজেদের ভ্রমণের ইচ্ছা থেকেই দেশের অনেক জেলা ভ্রমণ করেছেন। ভেবে দেখলেন, ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশের মেয়েদের আগ্রহ আছে সবসময়ই। কিন্তু সমস্যাটা হয়ে দাঁড়ায় মেয়েদের সঙ্গী এবং নিরাপত্তার ব্যাপারটি। মানসী ও সাকিয়া জানতেন বিশ্বব্যাপী ট্রাভেলেটস নামে মেয়েদের একটি গ্রুপ রয়েছে, যা বিভিন্ন দেশের মেয়েদের ভ্রমণে উৎসাহিত করে আসছে অনেকদিন ধরে। সেই গ্রুপের বিষয়টিই বাংলাদেশে গড়ে তোলার প্রত্যয়েই এই দুজন গত বছরের নভেম্বরে তৈরি করেন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ফেসবুক গ্রুপ ‘ট্রাভেলেটস অব বাংলাদেশ’

ট্রাভেলেটস অব বাংলাদেশের বয়স খুব অল্পদিনের হলেও মেয়েদের মাঝে এরই মধ্যে বিস্তৃতি ছড়িয়েছে সফলভাবেই। ইতোমধ্যে গ্রুপের সদস্য পেরিয়েছে ছয় হাজার। এরই মধ্যে ট্রাভেলেটসরা ঘুরে বেড়িয়েছেন নরসিংদী এবং মৈনট ঘাটে। খুব অবাক করার মতো হলেও অনেক নারীই এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো পা রেখেছেন ঘরের বাইরে, ঘুরে বেড়িয়েছেন নিজের মতো করে। ট্রাভেলেটসের প্রতিষ্ঠাতা মানসী এই বিষয়টাকেই নিজেদের সাফল্য মনে করেন।

জানা যায়, এই অল্প সময়ের মাঝেই ট্রাভেলেটস অব বাংলাদেশ আয়োজন করতে চলেছে ‘ট্রাভেল অ্যান্ড ট্রাভেলেটস ফটোগ্রাফি এক্সিবিশন-সিজন-১’-এর। দেশের সব ধরনের ভ্রমণকে উৎসাহিত করতেই এই আয়োজন করেছেন আয়োজকরা। নারী ভ্রমণকারীদের সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র ভ্রমণকেই উৎসাহিত করতেই এই আয়োজন করেছেন তারা। আয়োজকদের একজন এবং ট্রাভেলেটস অব বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মানসী জানান, ‘আমরা সামগ্রিকভাবেই ভ্রমণকে উৎসাহিত করতে চাই। আমরা চাই ভ্রমণ নিয়ে এই ধরনের এক্সিবিশন আমরা চেষ্টা করব নিয়মিতভাবে আয়োজন করতে।’ এছাড়া গ্রুপের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুধু দু’জন অ্যাডমিনের সঙ্গেই বিষয়টি জড়িত নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইডেন কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ট্রাভেলেটস অব বাংলাদেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন আগ্রহী মেয়েরা এবং ভবিষ্যতে এই আয়োজন পুরো দেশেই ছড়িয়ে দিতে চান তারা।

ট্রাভেলেটস অব বাংলাদেশ দেশের নারী ভ্রমণকারীদের আগ্রহকে আরো অনেকদূর এগিয়ে নিতে চান। প্রথম এক্সিবিশনটি আয়োজন করা হবে ৩০ মার্চ থেকে ১ এপ্রিলে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এই আয়োজনের উদ্বোধন করবেন। নারীদের ভ্রমণ নিয়ে এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে, আরো অনেক ট্রাভেলেটসরা এগিয়ে আসবেন নিজের সাহস ও ইচ্ছার ওপর ভর করে এমনই আশাবাদ ব্যক্ত করেন আয়োজকরা।

ছবি : সংগ্রহ

Comments

The Daily Star  | English

The story of Gaza genocide survivor in Bangladesh

In this exclusive interview with The Daily Star, Kamel provides a painful firsthand account of 170 days of carnage.

1d ago