হোয়াইট হেডস

হোয়াইট হেডস এক ধরনের অ্যাকনে, যা ক্লগড হেয়ার ফলিকসের জন্য হয়। ত্বকের মরা কোষ, ব্যাকটেরিয়া এবং ধুলো-ময়লা আমাদের ত্বকের ওপরের হেয়ার ফলিকসে জমে যায় এবং তার ফলে এক ধরনের সোলেন গ্রোথ হয়। আর এখানে যদি অতিরিক্ত তেল এবং ব্যাকটেরিয়া জমা হয় তখনই দেখা যায় হোয়াইট হেডস বয়ঃসন্ধির সময় থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক সবারই এই সমস্যা হতে পারে। মুখের পাশাপাশি ঘাড়ে, গলায়, পিঠে এবং হাতেও হোয়াইট হেডস হতে পারে। তবে এটা ভাববেন না যে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়াটা খুবই কঠিন কোনো কাজ। কিছু নিয়ম মানলে সমস্যা আর থাকবে না।

 হোয়াইট হেডসের কখনো টিপে পরিষ্কার করার চেষ্টা করবেন না। ত্বকে স্থায়ী দাগ বা ইনফেকশন হতে পারে। ত্বক পরিষ্কার রাখা  খুব জরুরি। অয়েল ফ্রি প্রডাক্ট ব্যবহার করুন। ক্লিনিং, টোনিং, এক্স ফোলিয়েটিং ইজ আ মাস্ট। কখনো সেন্টেড সাবান অথবা ক্লিনজার ব্যবহার করবেন না। ক্লিনজার কেনার সময় দেখে নিন তাতে স্যালিসিলিক অ্যাসিড বা আলফা হাইড্রোক্সিল অ্যাসিড আছে কি না। কারণ এতে মজুদ উপাদান বন্ধ রোমকূপের মুখ খুলতে সাহায্য করে।

ত্বক পরিষ্কার রাখা মানেই যে বারবার মুখ ধুতে হবে এমনটা কিন্তু নয়। বারবার মুখ ধুলে অ্যাকনে এবং ইনফ্লেমেশনের সমস্যা আরো বেড়ে যায়। ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তবে সপ্তাহে দু’থেকে তিনবার ত্বক এক্সফোলিয়েট করা একান্তই জরুরি। আপনার ত্বক অনুযায়ী স্ক্র্যাব ব্যবহার করুন। এক্সফোলিয়েশন রোমকূপে জমে থাকা ময়লা যেমন বের করে দেয়, তেমনই নতুন স্কিন সেল গ্রোথে সাহায্য করে। নোংরা হাত দিয়ে একেবারেই মুখ মুছবেন না। হাতে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। যার থেকে হোয়াইট হেডসের সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে।

হোয়াইড হেডসের সমস্যা খুব বেড়ে গেলে কোনো ডামালোজিস্টকে দেখিয়ে পরামর্শ নিয়ে নেয়া ভালো। ঘরোয়া তৈরি কিছু প্যাক আর স্কিনের যত্নে সাহায্য করে। মধুতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকার কারণে ব্যাকটেরিয়াল জীবাণু মারার সঙ্গে হোয়াইট হেডসের আকার এবং ইনফ্লেমেশন কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়াও মধু অতিরিক্ত তেল শুষে নিতেও সাহায্য করে। একটা ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে এক টেবিল চামচ দুধ ও দুই টেবিল চামচ মধু মেশান। এতে আস্তে আস্তে ডিমের হলুদ অংশ মেশান। ভালোভাবে মিশিয়ে স্মুথ পেস্ট তৈরি করে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। এক প্যাক লাগানোর পর মুখে একটু টান টান ভাব আসতে পারে, যেহেতু এতে ডিম আছে। তবে এই নিয়ে চিন্তা করবেন না। ডিম অতিরিক্ত তেল শুষে নিতে সাহায্য করবে এবং আপনি পাবেন স্বাভাবিক, সুন্দর কোমল রূপ। যে অংশে হোয়াইট হেড বেশি হয়, সেগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। সঠিক প্রডাক্ট বাছুন। স্কিনে বেশ কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে নিন। ঘাম থেকে ব্রণ, হোয়াইট হেডস হতে পারে। বেশি ঘাম হওয়ার পর অবশ্যই ভালো করে গোসল করুন। গরমে হালকা ঢিলেঢালা জামা পরাই ভালো।

মেকআপ করলে রাতে ঘুমানোর আগে মেকআপ অবশ্যই পরিষ্কার করে নেবেন। না হলে ত্বকে ময়লা জমে যাবে। মাসে অন্তত একবার পার্লারে গিয়ে প্রফেশনাল পদ্ধতিতে হোয়াইট হেডসের রিমুভ করিয়ে নিন।

এক্সফোলিয়েশনের পর অবশ্যই আপনার স্কিন টাইপ অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। নাহলে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। বারবার হোয়াইট হেডসে হাত দেবেন না বা খুঁটবেন না। এতে সমস্যা আরো বেড়ে যাবে। আর ত্বকে দাগ পড়বে। ত্বকের যত্ন নিন। নিজেকে সুস্থ রাখার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের সুস্থতায় নজর দিন। হেলদি ডায়েট করুন। সুন্দর থাকুন।

Comments

The Daily Star  | English

Please don't resign: An appeal to Prof Yunus

A captain cannot abandon ship, especially when the sea is turbulent

8h ago