শাকিব খান নিষিদ্ধ, তথ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণের শর্ত ভঙ্গ করার অভিযোগে এফডিসির ১৭টি সংগঠন থেকে শাকিব খান, প্রযোজক আব্দুল আজিজকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে চলচ্চিত্র অঙ্গনের নেতারা। ২৩ জুন সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন চলচ্চিত্র পরিবারের নেতারা।
চলচ্চিত্র অঙ্গনের নেতাদের মতে, “যৌথ প্রযোজনার নামে প্রতারণার আশ্রয়ে দেশের প্রচলিত আইন ভঙ্গকারীদের সঙ্গে জড়িত সকল শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক ও কলাকুশলীদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে।”
পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলন থেকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর উপর অনাস্থা প্রকাশ করে পদত্যাগ দাবি করা হয়। ১৭টি সংগঠনের পক্ষ থেকে তথ্যমন্ত্রীর যাবতীয় অনুষ্ঠান বর্জনেরও ঘোষণা দেওয়া হয়।
যৌথ প্রযোজনার ছবিতে শিল্পীসমতা, শুটিং লোকেশনে সমতাসহ শর্তগুলো মানা হচ্ছে না এমন অভিযোগে সেন্সরর্বোড ও প্রিভিউ কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন মুশফিকুর রহমান গুলজার। সংবাদ সম্মেলনে গুলজার বলেন, “যৌথ প্রযোজনার নিয়ম মানা হচ্ছে না বলেই আমরা আন্দোলনে নেমেছি। কয়েক বছর ধরেই এই অনিয়ম করে যাচ্ছে জাজ মাল্টিমিডিয়া ও তাদের সহযোগীরা। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু তাদের সাহায্য করে যাচ্ছেন। শাকিব খানও তাদের পক্ষ হয়ে ইন্ডাস্ট্রিকে খাটো করে নানা কথা বলছেন। তাই তাদের চলচ্চিত্র পরিবারের পক্ষ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হল।”
চলচ্চিত্র পরিবারের আহবায়ক মুশফিকুর রহমান গুলজারসহ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অভিনেতা ফারুক আলমগীর, রোজিনা, মিশা সওদাগর, রিয়াজ, আলীরাজ, বাপ্পী, পপি, জায়েদ খান, অঞ্জনাসহ ১৭ সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
আলমগীর দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, “কয়েক সপ্তাহ আগেই শাকিব খানকে নিয়ে এসে আমি ১৭ সংগঠনের কাছে তার হয়ে ক্ষমা চেয়েছি। সবাইকে বলেছি যেন ক্ষমা করে দিয়ে তার উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। এত অল্পদিনেই সে সব ভুলে গেছে। সে সীমা অতিক্রম করে আমাদের বড় ভাই ফারুক ভাইকে ইঙ্গিত করে বাজে কথা বলেছে। আমরা কোনওদিন রাজ্জাক ভাই, ফারুক ভাইদের নিয়ে কথা বলিনি। কোনও কারণে কষ্ট পেলেও চুপ থেকেছি। একদিনের সিনিয়র হলেও তিনি সিনিয়র।”
এই অভিনেতা আরও বলেন, “দিলীপ কুমার ৪০ বছর সিনেমা করেন না। তাই বলে অমিতাভ কী তাকে খাটো করে কথা বলে। ফারুক ২৫ বছর জীবন যৌবন বিলিয়ে দিয়েছেন এই ইন্ডাস্ট্রির জন্য। শাকিবের কীসের অভাব? আসলে ওর শিক্ষার অভাব।”
অভিনেতা ফারুক দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, “আমরা চলচ্চিত্রের ধ্বংস বসে বসে দেখবো না। প্রয়োজনে রাস্তায় না খেয়ে থাকবো প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের জন্য। আসুন আপনারা তাদের প্রতারণার ছবি বর্জন করুন।”
Comments