মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা দেওয়া গানগুলো
দেশকে ভালোবেসে দেশের মাটির জন্য রচিত হয়েছে অনেক গান। সেই গানে উদ্দীপনা পেয়েছিলেন দেশের মানুষ। মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রেরণার অন্যতম উৎস ছিল দেশের গান। গানের কথা-সুর-কণ্ঠ অনেক বড় অস্ত্র ছিলো তখন।
অনেক প্রেরণা দিয়েছিলো গানগুলোর মধ্যে ছিল ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল রক্ত লাল রক্ত লাল’ গানটি।
শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে গাওয়া অনেক প্রেরণা জোগানো গানটির রচয়িতা গোবিন্দ হালদার আর সুর করেন সমর দাস।
মার্কিন সংগীতশিল্পী জর্জ হ্যারিসন ‘বাংলাদেশ’ শিরোনামে কালজয়ী গানটি গেয়েছিলেন। এ গানটি বাঙালি জাতিকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল।
এখনো প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা দিয়ে যায় আবদুল জব্বারের কণ্ঠে ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ কিংবা ‘হাজার বছর পরে’। অনেক গানের মধ্যে আপেল মাহমুদের কণ্ঠে ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’ কিংবা ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেবোরে’ ও গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা ও আনোয়ার পারভেজের সুরে ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ প্রাণ জুগিয়েছে মুক্তিযুদ্ধে।
অন্যান্য গানের মধ্যে রয়েছে আবুল কাশেম সন্দ্বীপের লেখা ও সুজেয় শ্যামের সুরে ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি’, জীবনানন্দ দাশের ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি’ এবং শহিদুল ইসলামের লেখা ও সুজেয় শ্যামের সুরে ‘বিজয় নিশান উড়ছে ঐ’।
গৌরি প্রসন্ন মজুমদারের লেখা ‘শোন একটি মুজিবুরের থেকে লক্ষ মুজিবুরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি’ গানটিতে সুর দিয়েছিলেন অংশুমান রায়। এটি গেয়েছিলেন শ্যামল মিত্র।
সিকান্দার আবু জাফরের লেখা ও শেখ লুতফর রহমানের সুরে ‘জনতার সংগ্রাম চলবে’, নঈম গহর রচিত ও সমর দাস সুরারোপিত ‘নোঙ্গর তোল তোল’, আবদুল লতিফের ‘সোনা সোনা সোনা লোকে বলে সোনা’সহ আরও অনেক গান প্রেরণা জুগিয়েছিল যুদ্ধ চলাকালে।
মহসীন রেজার কথায় ও রথীন্দ্রনাথ রায়ের কণ্ঠে ‘ছোটদের বড়দের সকলের’ গানটিও বেশ জনপ্রিয়তা পায় তখন।
গণসংগীতের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে জোরালো ভূমিকা রাখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, অতুলপ্রসাদ ও রজনীকান্তের দেশাত্মবোধক গানগুলো।
Comments