‘অভিনয়েই বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করি’
বাংলা সিনেমার স্বনামধন্য নায়ক, পরিচালক ও প্রযোজক মাসুদ পারভেজ – সবাই তাঁকে সোহেল রানা নামে চিনেন। সেই নায়কের ৭১তম জন্মদিন আজ। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ প্রযোজনা করেছিলেন তিনি। পরে ১৯৭৩ সালে ‘মাসুদ রানা’ সিনেমা দিয়ে পরিচালনা ও অভিনয়ে আসেন। ১৯৮৩ সালে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান ‘লালুভুলু’ ছবির জন্য। ১৯৯৬ সালে ‘অজান্তে’ অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান ও ২০০৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান ‘সাহসী মানুষ চাই’ সিনেমার জন্য। জন্মদিনের দুপুরে সোহেল রানা কথা বলেন দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে
স্টার অনলাইন: জন্মদিনে কী করছেন আজ?
সোহলে রানা: একেবারে বাসাতেই সারাদিন থাকবো। অনেকেই দেখা করার জন্য আসবেন, তাঁদের সঙ্গে গল্প করবো, আড্ডা দিবো। পরিবারের সবার সঙ্গে ছোট আয়োজন থাকতে পারে।
স্টার অনলাইন: অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক কোন পরিচয়ে বেশি আনন্দ পান?
সোহেল রানা: আমি কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। অনেক বছর আগে আমার লেখা বইও প্রকাশিত হয়েছিলো। ছবির জন্য তিনটি গল্প লিখেছিলাম। এরপর, আর কোনো গল্প লিখিনি। কারণ, স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে পারছিলাম না। আর প্রযোজক হিসেবে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করার কিছুই নেই। অভিনয়ের ব্যাপারে আমি যতক্ষণ পর্যন্ত মন মতো চরিত্র না পাই, ততক্ষণ কাজ করি না। মোট কথা চরিত্র পচ্ছন্দ হলেই অভিনয়ে করি। তবে অভিনয়েই বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করি, মনে হয়।
স্টার অনলাইন: আগামী দিনের পরিকল্পনা কী?
সোহেল রানা: পরিকল্পনা করে আমি কখনই কিছু করিনি, এখনও করি না। তবে কিছু করতে গেলে চিন্তা করে নেই। দেশের মানুষের জন্য কিছু একটা করতে চাই। কেননা, দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি। সরকার যদি চলচ্চিত্রশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে, চলচ্চিত্রের মানুষ হিসেবে আমি এর সঙ্গী হবো।
স্টার অনলাইন: আপনাকে এখন অভিনয়ে তেমন দেখা যাচ্ছেনা কেন?
সোহলে রানা: দেশীয় বিষয় নিয়ে কাজ করার মতো ভালো গল্প বা পরিচালক দেখছি না, তাই কাজ করা হচ্ছে না। আমাকে যাঁরা ভালোবেসে সম্মান দিয়ে কাজ করবেন, তাঁদের সঙ্গে কাজ করবো। যেখানে এই বিষয়গুলো থাকবে না সেখানে কাজ করে আনন্দ থাকে না। এসব কারণেই আমাকে সিনেমায় এখন আর সেইভাবে দেখা যায়না।
স্টার অনলাইন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সোহেল রানা: আপনাকেও ধন্যবাদ।
Comments