অভিযোগের ফল বুঝে নিলেন ওমর সানী

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল বুঝিয়ে দেওয়া হয় সভাপতি পদে পরাজিত প্রার্থী ওমর সানীকে।
৯ মে সন্ধ্যায় শিল্পী সমিতির ভেতরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফল প্রকাশ করেন শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বিভাগ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন দিলু, সদস্য খোরশেদ আলম খসরু ও শামসুল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মনতাজুর রহমান আকবর।
সংবাদ সম্মেলন শেষে ওমর সানীকে ফলাফল বুঝিয়ে দেন তাঁরা। এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মৌসুমী।
আপিল বিভাগের চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন দিলু ওমর সানীকে বলেন, “প্রাথমিক ফল প্রকাশে কিছু ভুল ছিলো। চূড়ান্তভাবে এই ফলাফল পাওয়া গেছে। যদি আপনার আপত্তি বা সন্দেহ থাকে তবে আপনার সামনে আমরা ভোট গুণে দিতে চাই।”
এর বিষয়ে ওমর সানী বলেন, “ভোট আর গণনার দরকার নেই। এখানে আপনারা যাঁরা আছেন সবাইকে আমি সম্মান করি এবং বিশ্বাস করি। আমি ফল মেনে নিলাম। এফডিসি আমার ২৮ বছরের প্রাণের জায়গা। এখানে আমি আপনাদের চোখের সামনেই বড় হয়েছি। এর আগে আরও ছয়টি নির্বাচনে আমি প্রার্থী হয়েছি। একবার হেরেছিলাম। এবারও হারলাম। দুঃখ নেই।”
নতুন ফলাফল নিয়ে ওমর সানী কোনো ব্যবস্থা নেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, “এখানে আমার সিনিয়ররা আছেন। আলমগীর ভাই, ফারুক ভাই, ববিতা আপা, কবরী আপা, শবনম আপা, ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইয়েরা আছেন। তাঁরা আমাকে যা বলবেন তাই মেনে নেব। মিশা আমার বন্ধু। আমরা সবাই একই ইন্ডাস্ট্রির। এসব নিয়ে আমি কোনো চিন্তা করি না। কেউ না কেউ তো জিতবেই।”
আগামী ১১ তারিখ চূড়ান্ত ফলাফল বিএফডিসির নোটিশ বোর্ডে টানানো হবে।
উল্লেখ্য, সমিতির নির্বাচনের ফলাফলে অসঙ্গতির অভিযোগ তুলে ভোট পুনঃগণনার দাবি করে তিনি আপিল বিভাগের কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে আবার নতুন করে ভোট গণনা করা হয়।
নতুন গণনা শেষে ওমর সানীর নয়টি ভোট বেড়েছে। তবে সভাপতি পদে কোনো পরিবর্তন আসেনি। মিশা সওদাগরই হলেন নবনির্বাচিত সভাপতি।
Comments