‘পরাজিত হলেও একই কাজ করবো’
বাংলা চলচ্চিত্রের এই সময়ের শক্তিমান খল অভিনেতা মিশা সওদাগর। হাজারের কাছাকাছি সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি। আগামী ৫ মে অনুষ্ঠিত শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়ছেন। নির্বাচন নিয়ে মিশা সওদাগর কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে:
স্টার অনলাইন: “নীতিগতভাবে আমরা এক” এই শ্লোগান নিয়ে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। বিষয়টি আসলে কী?
মিশা সওদাগর: আমরা একটা লক্ষ্য নিয়ে নির্বাচনে এসেছি। সেটি হচ্ছে আমদের দেশের সিনেমা ও সিনেমার মানুষদের উন্নয়ন। এ নীতির সঙ্গে যাঁরা একমত বলে মনে করছেন তাঁরা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। আমাদের প্রথম এবং শেষ ভালোবাসা সিনেমা।
স্টার অনলাইন: আপনার প্যানেল যদি জয়ী হয় তাহলে কী কী করবেন?
মিশা সওদাগর: আমাদের সহকর্মী শিল্পীদের জন্য কাজ করতে চাই। সিনিয়র-জুনিয়র শিল্পীদের মধ্যে এক ধরনের দূরত্ব রয়েছে সেটি কমিয়ে আনতে চাইবো। পাশাপাশি আমাদের শিল্পীরা তাঁদের অনেক ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। এছাড়াও, অনেক যৌক্তিক বিষয় নিয়ে কাজ করে যাবো।
স্টার অনলাইন: যদি পরাজিত হোন তাহলেও কী একইভাবে কাজ করে যাবেন সিনেমার জন্য?
মিশা সওদাগর: প্রথমেই বলি আমি কিন্তু অনেক আগে থেকেই সিনেমার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। জিতলে কাজটা করা হয়তো একটু সহজ হবে। পরাজিত হলেও একই কাজ করে যাবো। সিনেমার প্রতি প্রেমটা রয়েছে – তাই কাজ করে যেতে হবেই।
স্টার অনলাইন: যৌথ প্রযোজিত সিনেমা নিয়ে আপনার কী ভূমিকা থাকবে?
মিশা সওদাগর: যৌথ প্রযোজিত সিনেমা নিয়ে আমি আগে থেকে সোচ্চার। বেশ কয়েকটি যৌথ প্রযোজিত সিনেমায় অভিনয় করেছি। পরে আর অভিনয় করিনি। যৌথ প্রযোজিত সিনেমায় কোনো সমস্যা দেখছি না। কিন্তু সব আইন-কানুন মেনে চলতে হবে। সবকিছুর সম-বণ্টন থাকতে হবে। আমরা নির্বাচিত হলে বিষয়টি ভালোভাবে দেখবো।
স্টার অনলাইন: এর আগেও তো শিল্পী সমিতিতে দায়িত্বে ছিলেন তখন তো অনেক কিছু করেননি?
মিশা সওদাগর: এ কথা সত্য যে কয়েক বছর নেতৃত্বের একটা জায়গায় কাজ করছি। কিন্তু কোনোভাবেই নিজের মতো করে কাজ করতে পারিনি। এজন্য বারবার কষ্ট পেয়েছি। নিজেকে ক্ষমা করতে পারিনি। তাই এবারে শেষ চেষ্টাটা করছি। যেগুলো ভুল ছিলো সেগুলো কাটিয়ে উঠতে চাই। আমি মনে করি, সঠিক নেতৃত্ব এলে শিল্পীদের উন্নয়নে সমিতির কাজ করার সুযোগ থাকে। সেটা এবার মনে প্রাণে কাজে লাগাতে চাই।
Comments