স্বাস্থ্য ফিচার
অল্প বয়সী অ্যাথলিটদের মধ্যে হাঁটুর ব্যথাজনিত এক ধরনের সমস্যা দেখা যায়। এ ধরনের সমস্যাকে বলে রানার্স নি। প্যাটেলো ফেমোরাল পেন সিনড্রোম বলা হয়। তাই অসুখের অন্যতম কারণ হলো কনড্রোম্যালেশিয়া প্যাটেলা। ‘কনড্রো’ শব্দের মানে কার্টিলেজ। ‘ম্যালেশিয়া’ হলো নরম হয়ে যাওয়া আর ‘প্যাটেলা’ হলো নিক্যাপ বা হাঁটুর গিটের সামনের দিকের হাড়। অর্থাৎ নিক্যাপের নিচের অংশে কার্টিলেজ যদি কোনো কারণে নরম ও দুর্বল হয়ে যায়, তাহলে এই অসুখ হতে পারে। হাঁটু বাঁকালে এই কার্টিলেজও সহজেই বাঁকানো যায়। এই কার্টিলেজের কারণে হাঁটু সহজভাবে নড়াচড়া করতে পারে। ফলে এতে কোনোভাবে আঘাত লাগলে হাঁটুতে ব্যথা হওয়াটাই স্বাভাবিক। নিক্যাপের সঠিক মুভমেন্ট না হলে কার্টিলেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ যা-ই হোক না কেন, কনড্রোম্যালেশিয়ার প্রধান লক্ষণ অবশ্যই হাঁটু ব্যথা। অল্প ব্যথা থেকে অনেক সময় অত্যন্ত বেশি যন্ত্রণার আকার নিতে পারে এই ব্যথা। বিশেষ করে হাঁটু মুড়ে বসতে গেলে বা হাঁটু বাঁকাতে গেলে প্রবল ব্যথা হয়। সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় খারাপ লাগে। অনেকের ব্যথায় হাঁটু ফুলে ওঠে।
প্রতিকার করার প্রথম ধাপ নিক্যাপ ও হাঁটুর জয়েন্টের ওপর চাপ কমানো। ব্যথা হলে আগে বিশ্রাম নেয়া প্রয়োজন। জয়েন্ট বরফ নিন। কার্টিলেজ ক্ষতিগ্রস্ত হলে অনেক সময়ই বিশ্রাম নিশ্চিত ওষুধের কাজ করে। এছাড়া অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি পেইন কিলারও রোগীকে খেতে দেয়া হয়। তবে এরপরও যদি ব্যথা ও ফোলা ভাব না কমে, তাহলে আরও কয়েকটি উপায় প্রয়োগ করতে হবে। ফিজিওথেরাপি এক্ষেত্রে খুব কার্যকর। থাই মাসল শক্ত করতে ফিজিওথেরাপি করার পরামর্শ দেয়া হয়। নিক্যাপ অ্যালাইনমেন্ট পরীক্ষা করতে আর্থ্রাস্কোপিক সার্জারি করতে বলা হতে পারে। হাঁটুর জয়েন্টে ছিদ্র করে তার মধ্যে ক্যামেরা ঢোকানো হয়। আরো এমন পদ্ধতি ল্যাটেরাস রিলিজ। এর মাধ্যমে হাঁটুর কয়েকটি লিগামেন্ট বাদ দেয়া হয়। ফলে নিক্যাপ সহজে মুভ করতে পারে। রোগীর সেরে ওঠা একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম। এ ধরনের সমস্যা এড়াতে লাইফস্টাইলে কিছু পরিবর্তন আনুন। ক্যালরি ইনটেক কমান। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ফল, সবজি, হোলগ্রেন খাবার খান। সুবিধামতো সময়ে টাইম ধরে এক্সারসাইজ করুন।
Comments