কুরিয়ার ও লজিস্টিকসকে সেবা খাতের শিল্প ঘোষণার দাবি

এফবিসিসিআই কার্যালয়ে লজিস্টিকস অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সংগৃহীত

সরকারের প্রস্তাবিত মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস উন্নয়ন এবং নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইনকে ব্যবসাবান্ধব করার দাবি জানিয়েছেন দেশের কুরিয়ার সার্ভিস ও লজিস্টিকস সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা।

আজ শনিবার দুপুরে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত লজিস্টিকস অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির দ্বিতীয় সভায় এ দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে কুরিয়ার ও লজিস্টিকসকে সেবা খাতের শিল্প হিসেবে ঘোষণা করারও আহ্বান জানান তারা।

বৈঠকে উদ্যোক্তারা প্রস্তাবিত মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস উন্নয়ন এবং নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন-২০২২ এর খসড়ার বেশকিছু অসামঞ্জস্যতা তুলে ধরেন।

তারা জানান, খসড়া আইনের মাধ্যমে কুরিয়ার ও লজিস্টিক খাতের বিকাশ নয় বরং নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, 'লজিস্টিকস শিল্পের উন্নয়নের জন্য ২০ বছর মেয়াদী রোডম্যাপ প্রণয়নে কাজ করছে এফবিসিসিআই।'

তিনি জানান, লজিস্টিকস বিশাল একটি সম্ভাবনাময় খাত। বাংলাদেশের আগামী দিনের অর্থনীতির সম্প্রসারণ লজিস্টিক খাতের উন্নয়নের ওপর নির্ভর করবে। কেননা পণ্য উৎপাদন খরচ, বিপণন, এমনকি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে টেকসই সাপ্লাই চেইন প্রতিষ্ঠায় কার্যকর লজিস্টিকস সেবা অপরিহার্য।

কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ মো. নাসের জানান, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সরকারের নতুন আইনের খসড়ার ওপর শিগগিরই সুপারিশমালা তৈরি করা হবে।

কমিটির চেয়ারম্যান ও কুরিয়ার সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ'র সভাপতি হাফিজুর রহমান পুলক বলেন, 'সরকারের নীতি ও আইনি সহায়তা পেলে দেশের কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানিগুলো অর্থনীতিতে আরও ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে পারবে।'

সভায় কমিটির কো-চেয়ারম্যান আহসান হাবীব সেতু, আলহাজ্ব মকবুল আহমদ, নিসার উদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ও এফবিসিসিআই মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago