লোডশেডিংয়ে সংক্ষিপ্ত হলো ‘বিদ্যুতের দাবি’তে সংবাদ সম্মেলন

‘শিল্পগুলো ন্যায্যমূল্যে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি না পেলে উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে।’
ঢাকায় এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন চলাকালে ২ বার লোডশেডিং হয়। আয়োজকরা পরিস্থিতির কারণে আয়োজন সংক্ষিপ্ত করতে বাধ্য হন। ছবি: আহসান হাবীব ও এফবিসিসিআই

বাজেট প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই)। সেই সংবাদ সম্মেলন ব্যাহত হয়েছে ২ বার লোডশেডিং হওয়ায়।

আজ শনিবার এই সংবাদ সম্মেলন চলাকালে দ্বিতীয়বার যখন লোডশেডিং হয়, তখন এফবিসিসিআই ভবনের জেনারেটরও কাজ করছিল না। ফলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব না দিয়েই দ্রুত বৈঠক শেষ করতে বাধ্য হয় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ এই সংগঠনটি।

এফবিসিসিআই এর আগে যে বাজেট প্রস্তাব করেছিল, সেখানে শিল্পখাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল।

সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে জ্বালানিখাতে ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে।

লোডশেডিংয়ের কারণে সংক্ষিপ্ত করা প্রায় ৮০ মিনিটের এই সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী নেতারা দাবি জানান, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য যেন জ্বালানিখাতে আরও বরাদ্দ বাড়ানো হয়।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, 'শিল্পগুলো ন্যায্যমূল্যে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি না পেলে উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে।'

তিনি বলেন, 'শিল্পখাতকে প্রতি বছর তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। কিন্তু জ্বালানি সংকটে যদি উৎপাদন ব্যাহত হয়, তাহলে কীভাবে সেটা সম্ভব।'

'জ্বালানিখাত ছাড়াও দক্ষতা উন্নয়নে সরকারের আরও বেশি নজর দেওয়া উচিত,' বলে যোগ করেন তিনি।

এফবিসিসিআই আমদানির ওপর সব ধরনের অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং অগ্রিম কর (এটি) বাতিলের দাবি করেছে। কারণ, এআইটি ও এটির রিফান্ড পাওয়ার প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল এবং এর কারণে ব্যবসার ব্যয় বেড়ে যায়।

Comments