দেশে বৈদ্যুতিক বাইকের চাহিদা বাড়ছে

বৈদ্যুতিক বাইক
ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী পরিবহন হওয়ায় দেশে বৈদ্যুতিক মোটরবাইকের চাহিদা বাড়ছে।

২০২০ সালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বৈদ্যুতিক যানবাহন নিবন্ধনের জন্য নীতিমালা জারি করে। এরপর থেকে বৈদ্যুতিক বাইকের ব্যবহার বেড়ে চলেছে।

২০২২ সালে বৈদ্যুতিক বাইকের চাহিদা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

তারা বলেন, তেলে চালিত গাড়ির তুলনায় সাশ্রয়ী হওয়ায় পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক ২ চাকার গাড়ির ব্যবহার বেড়েছে। দ্রুত রিচার্জেবল ব্যাটারি ও হাল্কা ওজনের কারণে এ বাইকগুলো চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে।

আকিজ মোটরসের সিস্টেম অ্যানালিস্ট ইফতেখার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মাত্র ৬-৭ বছর আগেও প্রতি মাসে ১০টি বৈদ্যুতিক মোটরবাইক বিক্রি হতো। এখন একই সময়ে ৫০টির বেশি বিক্রি হচ্ছে।'

একইভাবে, ৩ চাকার বৈদ্যুতিক বাইক এখন প্রতি মাসে বিক্রি হচ্ছে ৭টি। আগে ছিল ৩টি।

বৈদ্যুতিক বাইক
ছবি: সংগৃহীত

কিন্তু, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি চার্জিং সুবিধা পেতে সমস্যা হওয়ায় দেশে বৈদ্যুতিক যানবাহনের জনপ্রিয়তা এখনো শীর্ষে পৌঁছায়নি।

'তবুও, গত কয়েক বছর ধরে এর বাজার বড় হচ্ছে। এর সম্ভাবনা অনেক,' যোগ করেন ইফতেখার হোসেন।

তিনি আরও বলেন, 'আগে এ ধরনের বৈদ্যুতিক বাহন শুধু ঢাকার বাইরে বিক্রি হলেও নিবন্ধন নীতিমালা জারির পর এখন এগুলোর চাহিদা ঢাকাতেও বেড়েছে।'

এ প্রেক্ষাপটে ভারতের ২ চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্র্যান্ড 'কোমাকি' গত শুক্রবার ঢাকায় আউটলেট খোলার মাধ্যমে এখানকার বাজারে প্রবেশের ঘোষণা দিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিকস টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।

কোমাকির বৈদ্যুতিক বিভাগের পরিচালক গুঞ্জন মালহোত্রা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আমাদের প্রতিষ্ঠান ভারতে ভালো সাড়া পেয়েছে। দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) অন্যান্য দেশগুলোর কাছ থেকেও একই রকম সাড়া আশা করছি।'

তার মতে, সার্কভুক্ত দেশগুলোর একই ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ও অর্থনৈতিক অবস্থা হওয়ায় এখানে বাইকের ব্যবহার অনেক।

তিনি আরও বলেন, সার্ক অঞ্চলে বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়াতে কোমাকি গ্রাহকসেবা বাড়াতে প্রস্তুত।

'আমাদের প্রতিষ্ঠান ৯টি কম গতির মডেল ও ৮টি বেশি গতির মডেলসহ ২ চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করে,' যোগ করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান নেক্সট মুভ স্ট্র্যাটেজি কনসাল্টিংয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে বিশ্বে বৈদ্যুতিক মোটরবাইক বিক্রি থেকে আয় হয়েছে ৪৫ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার।

২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী এর বাজার ১০৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি চলতি দশকে বার্ষিক ১০ দশমিক ২১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে।

২০২২ সালের শেষে দেশে তৈরি প্রথম ইলেকট্রিক বাইক বাজারে আনে ওয়ালটন গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

ওয়ালটন সম্প্রতি জানিয়েছে, প্রতি বছর আড়াই লাখ ইউনিট ইলেকট্রিক বাইক তৈরির সক্ষমতা প্রতিষ্ঠানটির আছে।

Comments

The Daily Star  | English

Hasnat calls for mass rally after Juma prayers demanding AL ban

The announcement came during an ongoing protest programme that began last night in front of Jamuna.

3h ago