রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য দ্বিগুণ করতে আগ্রহী ভারত

ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ পর রাশিয়ার ওপর পশ্চিমের দেশগুলোর ক্রমাগত নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্য দ্বিগণ করতে চায় নয়াদিল্লি।
পুতিন ও মোদি
গত বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নয়াদিল্লিতে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

ইউক্রেনে 'বিশেষ সামরিক অভিযানের' পর রাশিয়ার ওপর পশ্চিমের দেশগুলোর ক্রমাগত নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্য দ্বিগণ করতে চায় নয়াদিল্লি।

গতকাল রোববার ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের বরাত দিয়ে রুশ রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরটি এ তথ্য জানিয়েছে।

রাশিয়া ও ভারতের কর্মকর্তাদের মধ্যে সাম্প্রতিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর বলা হয়, 'ভারতের রপ্তানিকারক ও ব্যবসায়ীদের ইচ্ছার প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সমর্থন আছে। আগামী দিনগুলোয় ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য দ্বিগুণ করতে নয়াদিল্লি প্রস্তুত।'

প্রতিবেদন অনুসারে, ভারত সরকার মনে করে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যে রুপি ব্যবহার করা গেলে তা ২ দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাড়াবে।

গত সেপ্টেম্বরে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যে নতুন উদ্যোগ নিতে রাজি হয়। নয়াদিল্লি আশা করছে, এর ফলে অদূর ভবিষ্যতে রুপির মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য শুরু হবে।

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক লেনদেনে রুপি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, রাশিয়া থেকে তেল কেনার ফলে চলতি বছরে ২ মিত্র দেশের মধ্যে বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে।

এতোদিন ভারতের মোট চাহিদার এক শতাংশের কম অপরিশোধিত তেল রাশিয়া থেকে আমদানি করা হতো। বর্তমানে তা বেড়ে ২২ শতাংশ হয়েছে।

গত মাসে ইরাক ও সৌদি আরবকে টপকিয়ে রাশিয়া ভারতে শীর্ষ তেল সরবরাহকারী দেশ হয়।

সম্প্রতি, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর বলেছিলেন—২ দেশের বার্ষিক বাণিজ্য ৩০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে নয়াদিল্লি ও মস্কো কাজ করছে।

২০২১ সালে রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য হয়েছিল ১২ বিলিয়ন ডলার, যা সর্বকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।

Comments

The Daily Star  | English
Islami Bank's former managing director Abdul Mannan

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago