শুল্কযুদ্ধ: বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমালো আইএমএফ

ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেস্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত আমদানি শুল্কের কারণে বিশ্ববাণিজ্য অনেকটাই টালমাটাল। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পূর্বাভাস দিয়েছিল, চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হবে তিন দশমিক তিন শতাংশ। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কযুদ্ধের কারণে তা কমিয়ে দুই দশমিক আট শতাংশের কথা বলছে সংস্থাটি।

আইএমএফ'র পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, আগামী বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে তিন শতাংশের মধ্যে। মঙ্গলবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রসঙ্গে আইএমএফ'র ভাষ্য, নতুন করে আমদানি শুল্ক আরোপের ফলে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে এর প্রভাব দেশটির অর্থনীতিতেও পড়বে।

গত জানুয়ারিতে আইএমএফ বলেছিল, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি দুই দশমিক সাত শতাংশ হতে পারে। পরে তা কমিয়ে এক দশমিক আট শতাংশ করা হয়েছে।

শুল্কহার অনেক বেড়ে যাওয়ায় যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে তা বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিও 'অনেক কমিয়ে দেবে' বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।

যুক্তরাজ্য প্রসঙ্গে সংস্থাটি মনে করে, চলতি বছর বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহৎ অর্থনীতির এই দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আগের পূর্বাভাস থেকে কমে এক দশমিক এক শতাংশ হতে পারে।

তবুও এই প্রবৃদ্ধি জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালির তুলনায় বেশি।

আইএমএফ'র তথ্য মতে, পানি ও বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যাওয়ায় চলতি বছর যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি হতে পারে তিন দশমিক এক শতাংশ। এটি যেকোনো উন্নত অর্থনীতির দেশের তুলনায় বেশি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াশিংটনে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের শীর্ষ নীতিনির্ধারকদের বৈঠকে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

আইএমএফ'র প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়ের-অলিভিয়ে গুরিঁশা বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি 'গত চার বছরের মারাত্মক ধাক্কার যন্ত্রণা এখনো বয়ে চলছে'।

'বিশ্ব অর্থনীতি আবারও ভয়ঙ্কর পরীক্ষার মুখে পড়েছে' বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।

শুধু চীন নয় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর পণ্যের ওপরও ভিন্ন ভিন্ন হারে শুল্ক আরোপ করেছে।

এদিকে, আইএমএফ'র সংশোধিত পূর্বাভাসে চলতি বছর চীনের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে চার শতাংশ। আগের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ অর্থনীতির দেশটিতে প্রবৃদ্ধি হবে চার দশমিক ছয় শতাংশ।

Comments

The Daily Star  | English

Early US intel assessment suggests strikes on Iran did not destroy nuclear sites: CNN

Israeli Prime Minister Benjamin Netanyahu said Israel had agreed to Trump's ceasefire proposal

2d ago