গ্যাস সরবরাহের দাবিতে যমুনা সার কারখানায় শ্রমিক-কর্মচারীদের মানববন্ধন

জামালপুরে সরিষাবাড়ী উপজেলায় অবস্থিত যমুনা সার কারখানায় (জেএফসিএল) গ্যাস সরবরাহের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিক-কর্মচারীরা। গ্যাস সংকটে দেশের সবচেয়ে বড় ইউরিয়া কারখানাটি গত জুন মাস থেকে বন্ধ আছে।
গ্যাস সরবরাহের দাবিতে যমুনা সার কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা কারখানা চত্বরে মানববন্ধন করেন। ছবি: শহিদুল ইসলাম নিরব/স্টার

জামালপুরে সরিষাবাড়ী উপজেলায় অবস্থিত যমুনা সার কারখানায় (জেএফসিএল) গ্যাস সরবরাহের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিক-কর্মচারীরা। গ্যাস সংকটে দেশের সবচেয়ে বড় এই ইউরিয়া কারখানাটি গত জুন মাস থেকে বন্ধ আছে।

জেএফসিএল সূত্র জানায়, গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় গত ২১ জুন কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। কারখানার গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি আগাম কিছু না জানিয়েই গ্যাস বন্ধ করে দেয়। এতে অ্যামোনিয়া ও ইউরিয়া উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। কারখানা বন্ধ থাকায় দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া শ্রমিকরা কাজ হারিয়ে বিপাকে আছেন।

কারখানায় গ্যাস সরবরাহ ও উৎপাদন চালুর দাবিতে আজ শনিবার সকালে মানববন্ধন করেন জেএফসিএল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ)। কারখানার ভেতরে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে তারা বিক্ষোভ মিছিল করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমাবেশ করেন। সেখানে বক্তব্য রাখেন সিবিএ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান, কার্যকরী সভাপতি নাজমুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।

সিবিএ নেতারা জানান, গ্যাস সরবরাহ না থাকায় ইউরিয়া উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। গত চার মাস ধরে কারখানা অলস পড়ে আছে। এতে একদিকে মূল্যবান যন্ত্রাংশগুলো নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে দৈনিক আয়ের উপর নির্ভরশীল হাজার হাজার শ্রমিক কাজ হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। রেশনিং পদ্ধতিতে গ্যাস সরবরাহ করা হলেও কারখানার যন্ত্রাংশগুলো রক্ষা পাবে।

কারখানার প্ল্যান্ট ম্যানেজার (অ্যামোনিয়া) ও কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী ফজলুল হক বলেন, কারখানা পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে ৪০ এমএমসিএফ গ্যাসের প্রয়োজন পড়ে। উৎপাদন ছাড়াই কারখানা স্বাভাবিকভাবে সচল রাখতে ৫.৩ এমএমসিএফ গ্যাস প্রয়োজন। গ্যাসের চাপ নেমে আসলে অ্যামোনিয়া স্টোরেজ ট্যাংক বরফ হয়ে যাবে। এতে ট্যাংক চিরতরে অকেজো হয়ে কারখানা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।

এ ব্যাপারে কারখানার মহাব্যবস্থাপক (উৎপাদন) আব্দুল হাকিম বলেন, সরকার গ্যাস সরবরাহ না করলে উৎপাদন চালু সম্ভব না। কবে নাগাদ গ্যাস মিলবে তাও বলা যাচ্ছে না।

Comments

The Daily Star  | English
Islami Bank's former managing director Abdul Mannan

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

7h ago