পোশাকশ্রমিকদের গ্রেপ্তার, হয়রানি ও কালো তালিকাভুক্ত না করার আহ্বান আইবিসি’র

ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল, আইবিসি, পোশাকশ্রমিক, নূন্যতম মজুরি বোর্ড,

সাধারণ পোশাকশ্রমিকদের গণহারে গ্রেপ্তার, হয়রানি ও কালো তালিকাভুক্ত না করতে বিজিএমইএ এবং মালিকদের কাছে আহ্বান জানিয়েছে ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল (আইবিসি)।

আজ বুধবার পোশাক শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি নির্ধারণে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সৃষ্ট শ্রমিক অসন্তোষ, শ্রমিক ও শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা, হয়রারি ও বিজিএমইএ'র সাম্প্রতিক পদক্ষেপ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানিয়েছে ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আমরা সাধারণ শ্রমিকদের গণহারে গ্রেপ্তার, হয়রারি ও কালো তালিকাভুক্ত না করার জন্য বিজিএমইএ ও মালিকদের কাছে আহবান জানাই। বেআইনিভাবে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার আহবান জানাই, একই সঙ্গে সব শ্রমিকদের শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাই।

আইবিসি কিছু দাবির কথাও তুলে ধরে। তাদের বর্তমান দাবিগুলো হলো- গণহারে শ্রমিক ও শ্রমিক নেতাদের গ্রেপ্তার ও হয়রারি বন্ধ করতে হবে। সব মামলা প্রত্যহার করতে হবে এবং গ্রেপ্তার নেতা ও শ্রমিকদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। ১৩(১) ধারায় বন্ধ রাখা কারখানার শ্রমিকদের পূর্ণ মঞ্জুরি দিতে হবে, এজন্য কোনো শ্রমিকের মজুরি কম দেওয়া যাবে না। বন্ধ কারখানা অবিলম্বে খুলে দিতে হবে, কোনো শ্রমিককে কালো তালিকাভুক্ত করা যাবে না। যেসব শ্রমিক আহত হয়েছেন তাহাদের চিকিৎসা সেবা দিতে হবে এবং যেসব শ্রমিক নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে লস অব ইয়ার আনিং হিসেবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

একইসঙ্গে মজুরি বোর্ডের কাছে খসড়া গেজেট পুর্নবিবেচনার দাবি জানিয়েছে আইবিসি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৭ নভেম্বর মালিকপক্ষের নিম্নতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকার প্রস্তাবকে আমলে নিয়ে মজুরি বোর্ড ১২ নভেম্বর খসড়া গেজেট প্রকাশ করে।

ওই গেজেটের ওপর কিছু আপত্তির কথা তুলে ধরে আইবিসি জানিয়েছে, আমারা মজুরি বোর্ডে শ্রমিকদের সাতটি গ্রেড থেকে ৫ ও ৬ নং গ্রেড বাদ দিয়ে (দুটি গ্রেড) ৫টি গ্রেড করার প্রস্তাব দিয়ে ছিলাম। ওই প্রস্তাব আমলে না নিয়ে মজুরি বোর্ড ১ ও ২ নং গ্রেড বাদ দিয়েছে। এর মাধ্যমে শ্রমিকদের মুল দাবিকে পাশ কাটানো হলো এবং সংখাগরিষ্ট শ্রমিকদেরকে ঠকানোর জন্য শুধু অপারেটরদের জন্য আগের মতো চারটি গ্রেড বহাল রাখা হয়েছে।

এছাড়া আগের সাত নং গ্রেড বর্তমানে যা পাঁচ নং গ্রেডে যে মজুরি বৃদ্ধি হয়েছে সেই তুলনায় অন্যান্য গ্রেডে মজুরি বৃদ্ধি হয়নি। হেলপারের জন্য নির্ধারিত পাঁচ নং গ্রেড থেকে চার নং গ্রেডের অপারেটরের বেতন মাত্র ৫২৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। একই হারে ওপরের অপর তিনটি গ্রেডের অপারেটরের বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে, যা এক গ্রেড থেকে অন্য গ্রেডের পার্থক্য অনেক কম। ২০১৮ সালের এক থেকে অপর গ্রেডে যে মজুরির পার্থক্য ছিল তা এবার আরও অনেক কমানো হয়েছে।

অপারেটরের গ্রেডগুলোরে বেতন বৃদ্ধি করে সমন্বয় করার প্রস্তাব করেছে আইবিসি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আইবিসির কেন্দ্রীয় নেতা বাবুল আকতার, তৌহিদুর রহমান, সালাউদ্দিন স্বপন, জেডএম কামরুল আনাম, রুহুল আমিন, নুরুল ইসলাম, রাশেদুল আলম রাজু, চায়না রহমান, মীর আবুল কালাম আজাদ, কামরুল হাসান, মো. শাহাদাত হোসেন, কায়সারুন নবী রুবেল প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago