আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ, আতঙ্কে ১৫ কারখানায় ছুটি

ছবি: সংগৃহীত

সাভারের আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন নাসা গ্রুপের শ্রমিকরা।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির তিনটি কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কে অবস্থান নিয়ে এই বিক্ষোভ শুরু করেন। 

শ্রমিকদের এই আন্দোলনের মুখে নিরাপত্তা শঙ্কায় এলাকায় অবস্থিত ১৫টি পোশাক কারখানায় আজকের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

নাসা গ্রুপের শ্রমিক ইমরোজ শেখ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রতি মাসের ৭ তারিখে বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ জুলাই মাসের বেতন না দিয়ে ১০ আগস্ট কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। ওই দিন শ্রমিকদের দাবির মুখে কর্তৃপক্ষ ১৪ আগস্ট বেতন দেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু গতকাল কর্তৃপক্ষ আগামী ১৮ আগস্ট পর্যন্ত কারখানা বন্ধ ঘোষণার নোটিশ টানিয়ে দেয়। কর্তৃপক্ষের এমন হটকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ আমাদের গ্রুপের তিনটি কারখানার ৫-৬ হাজার শ্রমিক রাস্তায় নেমে আন্দোলন করি।'

'এখন আমাদের শিল্পপুলিশ কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে। আমরা সেখানে যাচ্ছি। সেখানে মালিকপক্ষ, সেনাবাহিনী ও শিল্পপুলিশ শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা গেছে', বলেন তিনি।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ না করে দুই দফা কারখানা বন্ধ ঘোষণা করায় শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ কারণে তারা আন্দোলন করছেন।'

শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও ভাতা পরিশোধ এবং শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান এই শ্রমিক নেতা।

আশুলিয়া শিল্পপুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, 'বকেয়া বেতনের দাবিতে নাসা গ্রুপের শ্রমিকরা সকাল ৭টার দিকে সড়কে নেমেছিলেন। পরে তাদের বুঝিয়ে সাড়ে ১০টার দিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু শ্রমিক অসন্তোষের কারণে আশপাশের ১৫টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।'

শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানে চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English

At least 10 incidents in 7 years: Why clashes between CU students and locals keep happening

Housing shortage, resentment, and administrative inaction blamed for repeated clashes

1h ago