অবকাঠামো খাতের মাধ্যমে এখন লুণ্ঠন চলছে: ড. দেবপ্রিয়

ছবি: ইআরএফ

পুঁজিবাদের বিকাশের সময় সব দেশেই লুণ্ঠন হয় উল্লেখ করে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, 'বাংলাদেশে প্রথমে আর্থিক খাতে লুণ্ঠন হয়েছে ১৯৯০ এর দশকে। পরে হয়েছে পুঁজিবাজারে। আর এখন সরকারি প্রণোদনায় অতিমূল্যায়িত অবকাঠামো প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠান লুণ্ঠন করছে।'

আজ মঙ্গলবার অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত 'ইআরএফ সংলাপ' অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, 'তবে লুণ্ঠনের পরে বিচারব্যবস্থা ও প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রশাসন দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সমান চোখে বিচার করে সেবা দেয়। তখন একটি সভ্য সমাজ তৈরি হয়। তবে, এখন বাংলাদেশে তা দেখা যাচ্ছে না।'

'এখানে দায়িত্বশীল উদ্যোক্তাদের কণ্ঠস্বর কম। জবাবদিহিতা দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে সুষ্ঠু গণতন্ত্র চর্চা না থাকলে সরকারি সেবা সাধারণ মানুষ ভোগ করতে পারে না, এটাই স্বাভাবিক। ইতোমধ্যে তরুণ প্রজন্ম দেশ ছেড়ে চলে যেতে চাচ্ছে। উচ্চ-ধনীরা বিদেশে বিনিয়োগের চেষ্টা করে কারণ তারা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আস্থা রাখতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হবে প্রধান রাজনৈতিক শক্তির।'

এক প্রশ্নের জবাবে ড. দেবপ্রিয় বলেন, 'দেশে প্রতিযোগিতাপূর্ণ ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরি হচ্ছে না। বিশেষ জায়গা থেকে বিশেষ ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এতে মেধাভিত্তিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিনিয়োগ বিকশিত হচ্ছে না। এর ফলে ক্ষতি হচ্ছে সরকার, মানুষ ও দেশের। বিদ্যুৎ জ্বালানিতে প্রতিযোগিতার সুযোগ তুলে নেওয়া হয়েছে। বিচারের সুযোগও তুলে নেওয়া হয়েছে।'

রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শারমিন রিনভী। ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh's exports stuck in EU, US orbit

Non-garment exports struggle with quality standards and logistics bottlenecks

13h ago