সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন

সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পাস হয়েছে।

বার্ষিক মূল্যস্ফীতি প্রায় ৬ শতাংশে রাখার প্রত্যাশাসহ জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে ৭ শতাংশ রেখে আজ সোমবার এই বাজেট পাস হয়।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ১১ লাখ ১০ হাজার ৮৪০ কোটি টাকার নির্দিষ্টকরণ বিল ২০২৩ সংসদে উত্থাপন করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।

এর আগে রোববার সংসদে অর্থবিল ২০২৩ পাস হয়।

আগামী ১ জুলাই থেকে এ বাজেট কার্যকর হবে। এর আগে রাষ্ট্রপতির সম্মতিসাপেক্ষে নির্দিষ্টকরণ আইন গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে।

গত ১ জুন অর্থমন্ত্রী 'উন্নয়নের অভিযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখ' শিরোনামে এ বাজেট সংসদে উপস্থাপন করেন। সংসদ সদস্যদের আলোচনা শেষে আজ সেই প্রস্তাবিত বাজেট পাস হয়। প্রতি বছর সাধারণত ২৯ বা ৩০ জুন বাজেট পাস হলেও এবার কোরবানির ঈদের কারণে কিছুটা আগে তা পাস হলো।

এবারের বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা, করবহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২০ হাজার কোটি টাকা, কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা, আর বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।

বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। একই সময়ে আয়ের প্রাক্কলন হচ্ছে ৫ লাখ কোটি টাকা। এ বাজেটের ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।

এ ঘাটতি পূরণে সরকার কোন খাত থেকে কত টাকা ঋণ নেবে, তারও একটি ছক তৈরি করেছে। এক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ ঋণ নেবে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া বৈদেশিক ঋণ হিসেবে নেবে ১ লাখ দুই হাজার ৪৯০ কোটি টাকা।

অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধার নেবে ব্যাংক খাত থেকে, যার পরিমাণ ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ ১৮ হাজার কোটি টাকা আর অন্যান্য খাত থেকে ৫ হাজার ১ কোটি টাকা নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে।

নতুন অর্থবছরের বাজেটের ওপর সংসদে উত্থাপিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খাতের ৫৯টি মঞ্জুরি দাবির বিপরীতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, গণফোরাম ও স্বতন্ত্রসহ ১০ জন সংসদ সদস্য মোট ৫০৩টি ছাঁটাই প্রস্তাব আনেন। এর মধ্যে কেবল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সাস্থ্যসেবা বিভাগের ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হয়। সব প্রস্তাবই কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। অন্যান্য বছর বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হলেও এবার মাত্র ২টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের ওপর আলোচনা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Netanyahu says Israel close to meeting its goals in Iran

JD Vance says US at war with Iran's nuclear programme, not Iran

19h ago