দেশের ৪ কোটি মানুষের ক্রয় ক্ষমতা ইউরোপীয়দের সমান: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি মন্তব্য করেছেন, ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশে চার কোটি মানুষ আছে যাদের ক্রয় ক্ষমতা ইউরোপের মানুষের সমান। এই চার কোটি মানুষ দাম দিয়ে ভালো জিনিসপত্র কিনতে পারে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ফার্নিচার, ইউরোপ,
‘১৮তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা ২০২৩’ উদ্বোধনের সময় কথা বলছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ছবি: সংগৃহীত

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি মন্তব্য করেছেন, ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশে চার কোটি মানুষ আছে যাদের ক্রয় ক্ষমতা ইউরোপের মানুষের সমান। এই চার কোটি মানুষ দাম দিয়ে ভালো জিনিসপত্র কিনতে পারে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি আয়োজিত '১৮তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা ২০২৩' উদ্বোধনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, 'প্রশিক্ষিত জনবলের তৈরি দেশীয় ফার্নিচার বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। বাংলাদেশের ফার্নিচার খাত খুব অল্প সময়ের মধ্যেই একটি শক্তিশালী খাতে রূপান্তরিত হয়েছে। দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশের ফার্নিচারের যে কোয়ালিটি, ডিজাইন, আধুনিকতা তা বিশ্বের যেকোনো দেশেরই নজর কাড়বে এবং নিতে আগ্রহী হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'তৈরি পোশাক শিল্পখাত আজ যে অবস্থানে এসেছে এটি একদিনে হয়নি। বর্তমানে ফার্নিচার থেকে ১১০-১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি হচ্ছে বলে যে তথ্য দিচ্ছেন তা এ অবস্থায় থাকবে না। এই খাতে গত ১০-১২ বছরে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে তাতে খুব শিগগিরই রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে।'

'টেকসই ফার্নিচার শিল্প গড়ে তুলতে পারলে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। যে পরিমাণ শ্রমিক এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত তা দ্বিগুণ করা সম্ভব।'

ফার্নিচার তৈরিতে যেসব মেটারিয়ালস আমদানি করতে হয় সেগুলো দেশে উৎপাদনে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

রপ্তানির ক্ষেত্রে যেসব বাধা রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করতে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, 'ফার্নিচার শিল্পের সঙ্গে জড়িত বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান শতভাগ রপ্তানিমুখী করার উদ্যোগ নিচ্ছে, যা সত্যিই প্রসংশনীয়।'

তিনি বলেন, 'অনেক লড়াই-আন্দোলন-সংগ্রাম করে আমাদের এই প্রিয় দেশ স্বাধীন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে দেশ আজ বিশ্ববাসীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে পাকিস্তানসহ পার্শ্ববর্তী অনেক দেশকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছে। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে গেলেই বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প শোনা যায়, যা বাঙালি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের।'

তিনি বলেন, 'দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা শেখ হাসিনা ঠিক করেছেন তা এর আগেই অর্জিত হবে।'

Comments