কেনিয়ার পর ফিলিপাইনে কারখানা খুলছে স্কয়ার ফার্মা

‘আমাদের অনেক ওষুধ আছে। তাই ফিলিপাইনে ব্যবসা বাড়াচ্ছি যাতে সুযোগটি পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারি।’
স্কয়ার ফার্মা

পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ার এর এবার পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের অন্যতম বৃহত্তম ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।

প্রতিষ্ঠানটির বোর্ড ফিলিপাইনের স্যামসন ফার্মায় ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।

স্কয়ার ফার্মার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ২৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি ফিলিপাইনে ওষুধ বিপণন ও সরবরাহের কাজ করবে।

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস আরও জানিয়েছে, অনুমোদিত ঋণের অর্থের অনুপাত হবে ৬০:৪০।

আগামী বছর এপ্রিলের মধ্যে স্যামসন ফার্মার ব্যবসা শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

স্কয়ার ফার্মার ফাইন্যান্স অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ফিলিপাইনে চাহিদার প্রায় অর্ধেক ওষুধ আমদানি করা হয়। দেশটি মোট চাহিদার পাঁচ ভাগের একভাগ ওষুধ ভারত থেকে আমদানি করে।'

স্কয়ার ফার্মাসহ বাংলাদেশের ১০ প্রতিষ্ঠান ফিলিপাইনে ওষুধ রপ্তানি করছে।

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের অনেক ওষুধ আছে। তাই ফিলিপাইনে ব্যবসা বাড়াচ্ছি যাতে সুযোগটি পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারি।'

এ ছাড়াও, বিদ্যমান পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে স্কয়ার ফার্মার পক্ষ থেকে চুক্তিভিত্তিক পণ্য উৎপাদনের জন্য জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ঢাকার সঙ্গে চুক্তি অনুমোদন করেছে স্কয়ারের বোর্ড।

কেনিয়া ও পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোয় জেনেরিক ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রির জন্য স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কেনিয়া ইপিজেড লিমিটেড খোলার পর এবার ফিলিপাইনে কারখানা খুলতে যাচ্ছে স্কয়ার ফার্মা।

প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক বিবরণীতে বলা হয়েছে, গত জুলাই-সেপ্টেম্বরে এর মুনাফা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০৬ কোটি টাকা।

Comments