অর্থনীতি
আইডিআরএ গাইডলাইন

গ্রাহকের লিখিত অনুমতি ছাড়া বিমা চুক্তিতে পরিবর্তন নয়

এতে বলা হয়েছে, এখন প্রতিটি বিমা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের নিয়ে গ্রাহক সুরক্ষা ও অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিটি থাকতে হবে।

বাংলাদেশের বিমা গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষায় প্রথমবারের মতো একটি গাইডলাইন জারি করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।

গত সোমবার জারি করা এই গাইডলাইনে বলা হয়েছে, এটি বীমা এজেন্ট, জরিপকারী ও বীমা গ্রাহকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

এতে বলা হয়েছে, এখন প্রতিটি বিমা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের নিয়ে গ্রাহক সুরক্ষা ও অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিটি থাকতে হবে।

কমিটিগুলো বিমা দাবি সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি করবে এবং বিমা গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।

দেশের ২৯ জীবন বিমা প্রতিষ্ঠান তারল্য সংকটের কারণে বকেয়া পরিশোধ না করায় প্রায় ১০ লাখ গ্রাহকের বিমা দাবির বিপরীতে টাকা আটকে আছে। এমন পরিস্থিতিতে আইডিআরএ এই গাইডলাইন জারি করল।

আইডিআরএ'র তথ্য অনুসারে—২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত চার বছরে অমীমাংসিত বিমা দাবির টাকার পরিমাণ তিন হাজার ৫০ কোটি টাকা।

বর্তমানে দেশে ৩৫ লাইফ ও ৪৬ নন-লাইফ বিমা কোম্পানি রয়েছে।

নির্দেশনা অনুসারে, বিমা পরিকল্পনা বা সেবাগুলো আইডিআরএ অনুমোদিত হতে হবে এবং সংস্থাটির অনুমোদন ছাড়া সেগুলো বিক্রয় করা যাবে না।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, বিক্রির সময় প্রস্তাবিত সেবার প্রকৃত সুবিধা ও শর্তগুলো বোধগম্য ও সহজ ভাষায় গ্রাহককে স্পষ্টভাবে জানাতে হবে।

গ্রাহককে মৌখিক, লিখিত বা অন্য কোনোভাবে এমন কোনো ধারণা বা আশ্বাস দেওয়া যাবে না যা বিমা পরিকল্পনায় নেই।

গ্রাহকের চাহিদা বা চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে উপযুক্ত বিমা পরিকল্পনা বা সেবা গ্রাহকের সামনে তুলে ধরতে হবে বলেও নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

এ ছাড়াও, কোনো বিমা সেবা গ্রাহকদের কাছে জোর করে বিক্রি করা যাবে না।

বিমার মেয়াদ পূর্ণ হলে বা মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে তা তুলে নিলে এবং বিমার সঙ্গে সম্পর্কিত বিনিয়োগ বা অন্যান্য ঝুঁকির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ বা জরিমানা সম্পর্কেও গ্রাহকদের জানাতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, গ্রাহকের লিখিত অনুমতি ছাড়া বিমা চুক্তিতে পরিবর্তন আনা যাবে না।

Comments