সিএসআরে ব্যাংকগুলোর খরচ কমেছে

২০২৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলো সিএসআর খাতে খরচ করেছে ৩৫৩ কোটি টাকা। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১ শতাংশ কম এবং গত বছরের প্রথমার্ধে ব্যাংকগুলো যে পরিমাণ টাকা খরচ করেছে, এটিও তার চেয়ে কম।
সিএসআর
জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও পরিবেশ খাতে সিএসআর খরচ হয়েছিল মোটের চার শতাংশ। ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) অংশ হিসেবে সামাজিকভাবে কল্যাণমূলক প্রকল্পে ব্যাংকগুলোর ব্যয় কমেছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে জানা গেছে।

গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

২০২৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলো সিএসআর খাতে খরচ করেছে ৩৫৩ কোটি টাকা। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১ শতাংশ কম এবং গত বছরের প্রথমার্ধে ব্যাংকগুলো যে পরিমাণ টাকা খরচ করেছে, এটিও তার চেয়ে কম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজনজনিত খাতে সিএসআরের ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

এতে দেখা গেছে, গত বছরের ষাণ্মাসিকে স্বাস্থ্য খাতে ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে সহায়তা কার্যক্রমে ব্যাংকগুলোর ব্যয় আগের ছয় মাসের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, জুলাই-ডিসেম্বর সিএসআর খরচের ২০ দশমিক ৬৫ শতাংশ শিক্ষা খাতে বিশেষত মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি হিসেবে দেওয়া হয়েছে।

মোট খরচের ২০ দশমিক ৪৮ শতাংশ গিয়েছে স্বাস্থ্যসেবায়। জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও পরিবেশ খাতে খরচ হয়েছিল মোট খরচের মাত্র চার শতাংশ।

শীতবস্ত্র বিতরণ, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান, ক্রীড়াসহ অন্যান্য খাতে সামাজিক দায়বদ্ধতার ব্যয়ে ৫৪ শতাংশ খরচ হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধে মোট সিএসআর খরচের সাড়ে ৯৭ শতাংশ করেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। বাকিটা করেছে বিদেশি ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো।

Comments

The Daily Star  | English
pharmaceutical industry of Bangladesh

Pharma Sector: From nowhere to a lifesaver

The year 1982 was a watershed in the history of the pharmaceutical industry of Bangladesh as the government stepped in to lay the foundation for its stellar growth in the subsequent decades.

15h ago