ডলারের নতুন বিনিময় হার

সুবিধায় রপ্তানিকারক, অসুবিধায় আমদানিকারক

ডলারের নতুন বিনিময় হার

ডলারের বিপরীতে টাকার দাম আরও কমেছে। একেবারে বিশাল অবমূল্যায়ন। ১১০ টাকা থেকে ১১৭ টাকা। এই অবমূল্যায়ন অর্থনীতিতে বেশ প্রভাব ফেলবে।

টাকার দাম কমার ফলে রপ্তানি আয় হিসেবে রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে সাত টাকা বেশি পাবেন। এটি তাদের জন্য বিশাল লাভ।

'ক্রলিং পেগ' প্রবর্তনে সরকারের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করা।

এতদিন আমরা জেনে এসেছি যে, রপ্তানিকারকরা গত অর্থবছরে আয় করেছেন ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার। তখন ডলারের বিনিময় হার ছিল ১১০ টাকা। এখন ডলারের বিনিময় হার ১১৭ টাকা ধরলেও রপ্তানিকারকদের আয় ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারই থেকে যাচ্ছে।

রপ্তানিকারকরা ইতোমধ্যে টাকার অবমূল্যায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। এর জন্য তারা দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছেন।

এখন ঘটনার অন্য দিকে তাকাই। যেহেতু বাংলাদেশ আমদানি নির্ভর তাই আমদানি খরচ অবশ্যই বাড়বে। ব্যবসায়ীদের পণ্য, বিশেষ করে ভোজ্যতেল, মসুর ডাল ও চিনি-পেঁয়াজের মতো নিত্যপণ্য আনতে এলসি খোলার জন্য ব্যাংক থেকে ডলার কিনতে বেশি খরচ করতে হবে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের আমদানি খরচ ছিল ছয় হাজার ৮৬০ কোটি ডলার। এলসি খোলার জন্য প্রতি ডলারের বিপরীতে যখন সাত টাকা বেশি খরচ করতে হবে তখন আমদানিকারকদের কত টাকা বেশি দিতে হবে তা ভেবে দেখুন।

এখন ব্যবসায়ীরা ডলারের বাড়তি দামকে অজুহাত হিসেবে দেখালে বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির আশঙ্কা তৈরি হবে। ব্যবসায়ীরা তারা সব সময় পরিস্থিতির সুযোগ নেন বলে অভিযোগ আছে।

গত দুই-তিন বছর ধরে ব্যাংক বা খোলা বাজারে ডলার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অনেক সময় ব্যবসায়ীরা বলেছেন, কাঁচামাল ও পণ্য আমদানির জন্য এলসি খুলতে ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ১২০-১২২ টাকায় কিনতে হয়।

দিন শেষে বাজারে আমদানি করা সব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Economist Abul Barkat held in corruption case

Prof Abul Barkat was the chairman of state-owned Janata Bank PLC

14m ago