কে-পপ যেভাবে বছরের পর বছর জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে

বিভিন্ন কে-পপ ব্যান্ড। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব সংগীতে বছরের পর বছর জনপ্রিয়তা প্রভাব ধরে রেখেছে কে-পপ ব্যান্ডগুলো। তবে, তা একদিনে সম্ভব হয়নি। এর পেছনে আছে দীর্ঘ গল্প, কে-পপের বিভিন্ন প্রজন্মের চেষ্টা। কোরিয়ান ব্যান্ড সবসময় ভক্তদের নতুন কিছু দিয়েছে। এজন্য ব্যান্ডের সদস্যরা পরিশ্রম ও অনুশীলন করেছেন। আর এভাবেই কে-পপ ব্যান্ড বিশ্বব্যাপী বছরের পর বছর তাদের প্রভাব ধরে রেখেছে।

মূলত ৯০-এর দশক থেকে কে-পপের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে চমৎকার কোরিওগ্রাফির মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃতি অর্জন করে। ২০০০ সালের দিকে প্রথমবার কে-পপ যুক্তরাষ্ট্রে প্রচারণায় যায়। কিন্তু, তখন এটি বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে, কিছুটা হলেও নজরকাড়তে পেরেছিল।

কিন্তু, কে-পপের দ্বিতীয় প্রজন্ম বিশ্বব্যাপী ফ্যানডমের বৃদ্ধি দেখেছিল। যখন গার্লস জেনারেশন, ওয়ান্ডার গার্লস, শিনি, মিস এ ছাড়াও আরও কিছু কে-পপ ব্যান্ড কাজ শুরু করে। তাদের গান এবং চমৎকার ভিজুয়াল উপস্থাপনা বিভিন্ন দেশের ভক্তদের কাছে প্রশংসিত হয় ও ভালোবাসা পায়। কিন্তু, কে-পপের সত্যিকারের উত্থান হয় বিটিএস, এক্সও, ব্ল্যাকপিঙ্কের মতো তৃতীয় প্রজন্মের ব্যান্ডের মাধ্যমে। বিটিএস এবং ব্ল্যাকপিঙ্ক শেষ পর্যন্ত বিশ্বের বৃহত্তম ব্যান্ডে পরিণত হয় এবং তা সেই ধারা এখনো অব্যাহত রেখেছে।

তৃতীয় প্রজন্মের হাইপের সঙ্গে ভালো কাজের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম বা চতুর্থ প্রজন্মের কে-পপ বিশ্ব সংগীতে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়। এমনকি কিছু ব্যান্ড যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপসহ আন্তর্জাতিকভাবে আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আইভিই, টিএক্সটি, স্ট্রে কিডসসহ আরও কিছু ব্যান্ড শুরু থেকে জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং অনেক রেকর্ড ভেঙে দেয়।

কে-পপের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, প্রতিটি প্রজন্ম ধারাবাহিকভাবে আরও বেশি জনপ্রিয়তা নিয়ে এসেছে। তার মানে, যদি প্রথম প্রজন্ম তাদের বাজার প্রসারের চেষ্টা না করে তবে নতুন প্রজন্ম একই চেষ্টা করতে সক্ষম হবে না। এভাবেই বছরের পর বছর ধরে কে-পপ বিশ্বব্যাপী তাদের জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে এবং পরের প্রজন্ম এসে তা ধরে রাখছে। এমনকি প্রতিবছর কে-পপের জনপ্রিয়তা বাড়তেই আছে।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

4h ago