উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা

৬৮ হাজার ডলার অনুদান দিলেন বিটিএসের জে-হোপ

বিটিএস সদস্য জে-হোপ। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার কে-পপ ব্যান্ড বিটিএস সদস্য জে-হোপ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি ১০০ মিলিয়ন ওন বা ৬৮ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছেন। এই কে-পপ তারকা হোপ ব্রিজ ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিলিফ অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে এই অনুদান দিয়েছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম কোরিয়া হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জেজু উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা নিয়ে জে-হোপের বিবৃতি

জে-হোপ বলেছেন, 'দুর্ঘটনার খবর শুনে, আমি যতটা সম্ভব শোকাহত পরিবারগুলোকে  সাহায্য করতে এই অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি শোকসন্তপ্ত পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি গভীর সমবেদনা ও শান্ত্বনা জানাই।'

হোপ ব্রিজের মহাসচিব শিন হুন বলেছেন, 'শোকাহত পরিবারের জন্য জে-হোপের সহায়তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। জে-হোপের এই অনুদান যেন শোকাহত পরিবারগুলোর কাছে সম্পূর্ণভাবে পৌঁছে দেওয়া হয়—তা নিশ্চিত করকে যথাসাধ্য চেষ্টা করব।'

এর আগে, বিটিএস সদস্য কিম তাইহিউং ওরফে ভি-এর জন্মদিনে সঙ্গীত সংস্থা বিগহিট ঘোষণা করেছিল, এই দুঃখজনক ঘটনার কারণে কোনো জন্মদিনে কোনো আয়োজন থাকবে না। তারা লিখেছে, 'আমরা সাম্প্রতিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আমরা জানাতে চাই, ভি-এর জন্মদিনে যেসব আয়োজন নির্ধারিত ছিল আজ (৩০ ডিসেম্বর) তা হবে না।'

সংস্থাটি রান জিনের ১৬তম পর্বও স্থগিত করেছে।

জেজু এয়ার দুর্ঘটনা

ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, গত রোববার সকালে জেজু এয়ারের একটি যাত্রীবাহী জেট ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয়জন ক্রু সদস্য নিয়ে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর বিস্ফোরিত হয়। এর ল্যান্ডিং গিয়ার মোতায়েন না থাকায়, উড়োজাহাজ অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে সরে যায়, মাটিতে স্কিডিং করে এবং একটি কংক্রিটের দেয়ালে আঘাত করে। পরে উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায় এবং বেস্ফোরিতন হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছিল যে, এই দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন এবং ১৮১ জনের মধ্যে দুইজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

জে-হোপ ১৮ মাসের সেবা শেষ করার পরে ২০২৩ সালের অক্টোবরে বাধ্যতামূলক সামরিক পরিষেবা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। বিটিএস সদস্যদের সামরিক বাহিনীতে যোগদানের সিদ্ধান্ত দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের জন্য একটি কঠিন পরিস্থিতি এড়াতে সাহায্য করেছে। কারণ দেশটিতে ৩০ বছরের কম বয়সী সব সুস্থ পুরুষদের জন্য সামরিক পরিষেবা বাধ্যতামূলক। তবে এই বিধান কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করার অনুমতি দেওয়া হয়। কিছু শীর্ষ ক্রীড়াবিদ ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পীদের এই ভিত্তিতে সামরিক সেবা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কে-পপ শিল্পীরা তা করেননি।

Comments

The Daily Star  | English
political reform in Bangladesh

Pathways to a new political order

The prospects for change are not without hope in Bangladesh.

11h ago