‘সমু চৌধুরী এখন কোথাও যেতে চাচ্ছেন না’

অসুস্থ অবস্থায় অভিনেতা সমু চৌধুরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার মশাখালী ইউনিয়নের একটি মাজার থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। বর্তমানে তাকে পার্শ্ববর্তী একটি নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তাকে পরিবারের জিম্মায় তুলে দেওয়া হবে।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম গণমাধ্যমকে বলেন, 'সমু চৌধুরী এখন কিছুটা সুস্থ অনুভব করছেন। আমার টিম তার সঙ্গে আছে। অভিনয়শিল্পী সংঘের নেতাদের সঙ্গেও আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ চলছে। ঢাকা থেকে কয়েকজন রওনা হয়েছেন।'
এদিকে অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মামুন অপু বলেন, 'তিনি এখন কোথাও যেতে চাচ্ছেন না। তার সঙ্গে পুলিশ ও স্থানীয় মানুষজন আছেন। তার পরিবারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। তারাও যশোর থেকে রওনা হয়েছেন। আমাদের টিম গফরগাঁওয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে বাকি বিষয় জানা যাবে। তবে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তার পরিবার চাইলে শিল্পী সংঘের উদ্যোকে আমরা তাকে ঢাকায় নিয়ে আসব। অর্থাৎ সমুদার পরিবার যেটা বলবে সেটাই করা হবে।'
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনেতা সমু চৌধুরীর কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এসব ছবিতে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের মুখী শাহ্ মিসকিন মাজারের রাস্তার ধারে গামছা পরা অবস্থায় শুয়ে থাকতে দেখা যায়। অনেকে দাবি করেন তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। কারণ, তার আচরণে তাকে সুস্থ মনে হয়নি।
মাজারের পাশের বাসিন্দা আল মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, 'বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মাজারের পাশে মোটরসাইকেলচালকের সঙ্গে এক ব্যক্তির বাগ্বিতণ্ডা শুনে এগিয়ে যাই আমিসহ কয়েকজন। তখন অভিনেতা সমু চৌধুরীকে চিনে ফেলি। মোটরসাইকেলচালককে ভাড়া না দেওয়ায় সমু চৌধুরীর সঙ্গে তার বাগ্বিতণ্ডা চলছিল। মোটরসাইকেলচালক বলছিলেন, ঢাকা থেকে তাকে এখানে নিয়ে এসেছেন। সমু চৌধুরী এ সময় খালি গায়ে ছিলেন। পরনে ছিল ট্রাউজার, সঙ্গে ছিল একটি ব্যাগ। এ সময় অভিনেতার আচরণে তাকে সুস্থ মনে হয়নি। পরে আমরা মোটরসাইকেলচালককে বুঝিয়ে পাঠিয়ে দিই।'
সমু চৌধুরী দেশের মঞ্চ, টিভি এবং সিনেমার জনপ্রিয় একজন অভিনেতা। ১৯৯০ সালের ২২ মার্চ বিটিভিতে প্রচারিত হয় তার অভিনীত প্রথম টিভি নাটক 'সমৃদ্ধ অসীম'। নাটকটি প্রযোজনা করেছিলেন আতিকুল হক চৌধুরী।
Comments